ওল্ড থেকে নিউ, পুরো দিঘাতে সমুদ্রের জল বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে রং পরিবর্তন করেছে । একেবারে ঘোলাটে কাদা মিশ্রিত রং।২৪ ঘন্টা আগেও দিঘার সমুদ্রের জলের রং এমন ছিল না
দিঘার সমুদ্রের নীলচে জলের আভা হটাৎই বহুরূপীর মতো রং বদলে হয়েছে ঘোলাটে বর্ণ । জলে স্নান করতে নামছেন না পর্যটকরা। কিন্তু কী কারণে এমন হল? পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন সমুদ্র বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি, কোনও অঘটন যাতে না ঘটে, তার জন্যও চলছে সতর্কতামূলক মাইকিং।
ওল্ড থেকে নিউ, পুরো দিঘাতে সমুদ্রের জল বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে রং পরিবর্তন করেছে । একেবারে ঘোলাটে কাদা মিশ্রিত রং।২৪ ঘন্টা আগেও দিঘার সমুদ্রের জলের রং এমন ছিল না। এমন ঘোলাটে রঙের জন্য বহু পর্যটক সমুদ্রে স্নান করতে ভয় পাচ্ছেন। যেসব পর্যটকরা সমুদ্রে স্নান করতে নেমেছিলেন, তাদের জামা কাপড়ে সেই কাদা জল লেগে যায়। সমুদ্রের জলের রং হঠাৎ করে এমন পরিবর্তনের কারণ নিয়ে, দিনভর পর্যটকদের মধ্যে চর্চা চলে। স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে বার বার দিঘায় বেড়াতে আসা পর্যটকগণের দাবি, “ এমন কাদা মিশ্রিত ঘোলাটে জল এর আগে কখনও দেখিনি।” পর্যটকদের কথায়, “আগে দিঘার সমুদ্রে স্নান করেছি। জলের রং এমন ঘোলাটে ছিল না। কিন্তু এখন হঠাৎ করে রং পরিবর্তনের কারণ কি? তা বুঝতে পারলাম না। তবে জামাকাপড় কাদা হয়ে যাওয়ার ভয়ে, এদিন স্নানে নামিনি। জলের রং পরিবর্তনটা খুব চোখে লাগছে। এর আগে বহুবার দিঘা এসেছি। এমন ঘোলাটে জল কখনও দেখিনি। সমুদ্রের জলে স্নান না করে কার্যত হতাশ হলাম। এরই মধ্যে আগামি ২৪ ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড়ের পুর্বাভাস জানিয়ে দিঘার সৈকতে মাইকে প্রচার শুরু করেছে পুলিশ। পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে বারণ করা হচ্ছে। সব কিছু মিলিয়েই দিঘার ছবিটা বেশ অন্যরকম।
তবে পরিবেশবিজ্ঞানীরা কিন্তু বিষয়টিকে ততটা উদ্বেগের বলে মনে করছেন না। সমুদ্র বিজ্ঞানী আনন্দদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, “এটা ওশান ডায়নামিকসের একটা পর্ব। সেরিমেন্ট লোড বেড়ে গেছে সমুদ্রে। তাই ঘোলা হয়ে গেছে জল। বেড়েছে বালির ও কাদার পরিমাণ। এটা খুব একটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আবার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে। সুবর্ণরেখায় বাঁধ দেওয়ার জন্যেও এমনটা ঘটতে পারে।” রামনগর ১ এর বিডিও আশিস কুমার রায় বলেন, “সমুদ্র বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে সমুদ্রে সেরিমেন্ট লোড বেড়ে গিয়ে এমনটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। উদ্বেগের কিছু নেই। তবুও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।” প্রশাসনের তরফে এবং বিজ্ঞানীরা আশ্বস্ত করলেও হতাশা কিন্তু পিছু ছাড়ছে না। কখন পুরনো চেহারা ফিরে পাবে দিঘার সমুদ্র, সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঘুরতে আসা পর্যটকরা।