এসআরএফআই সাই-এর সঙ্গে সম্মতি নেওযার জন্য প্রয়োজনীয় বৈঠক আয়োজন করতে পারেনি। এবং সেই কারণেই মেলেনি সম্মতি। দলের নাম নথিভুক্ত করতে পারেনি তারা। এটা অত্যন্ত দুঃখের যে, এর ফল ভুগতে হচ্ছে স্কোয়াশ খেলোয়াড়দের
সাংগঠনিক ব্যর্থতার জেরে স্কোয়াশ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেবন না বাংলার সৌরভ ঘোষাল। অবশ্য তিনি শুধু একাই নন, গোটা ভারতীয় পুরুষ দলকেই বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে নামার সুযোগ হারাতে হচ্ছে। জাতীয় প্রশাসক স্কোয়াশ র্যাকেটস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া-র (এসআরএফআই) ব্যর্থতায় স্কোয়াশের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নামা সম্ভব হচ্ছে না সৌরভদের।
আগামী ১৫ থেকে ২১ ডিসেম্বর ওই প্রতিযোগিতা হবে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে। স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া থেকে জরুরি সম্মতি সময়মতো নিতে না পারার কারণেই বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে পারবে না ভারতীয় পুরুষ স্কোয়াশ দল। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে এক সূত্র জানিয়েছে, ‘‘এসআরএফআই সাই-এর সঙ্গে সম্মতি নেওযার জন্য প্রয়োজনীয় বৈঠক আয়োজন করতে পারেনি। এবং সেই কারণেই মেলেনি সম্মতি। দলের নাম নথিভুক্ত করতে পারেনি তারা। এটা অত্যন্ত দুঃখের যে, এর ফল ভুগতে হচ্ছে খেলোয়াড়দের।” যদিও জাতীয় স্কোয়াশ ফেডারেশনের দাবি, তারা সব রকম চেষ্টা করেছে সম্মতি জোগাড়ের।
স্কোয়াশ র্যাকেটস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘ভারতের নাম দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ১৬ জুলাই। আমরা সাইকে ১৪ জুন এবিষয়ে জানিয়েছিলাম, অর্থাৎ এক মাস আগে। ফেডারেশন তাদের বার্ষিক ক্রীড়াসূচির ক্যালেন্ডারও জমা দিয়েছিল। তাতে খেলা ও প্রশিক্ষণ সব কিছুরই সময় দেওয়া ছিল। ২০১৯-এর জানুয়ারি থেকে শুরু করে সারা বছরের সেই নির্ঘণ্টে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের কথাও উল্লেখ ছিল।” পাশাপাশি এসআরএফআই কর্তাদের অভিযোগ, ‘‘এসিটিসি-র (অনুশীলন ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বার্ষিক ক্যালেন্ডার) কোনও বৈঠক ডাকা হয়নি ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে। এমন দেরি হয় না সাধারণত। বৈঠক হল ৩০ জুলাই। ততদিনে প্রতিযোগিতায় নাম দেওয়ার শেষ দিন পেরিয়ে গিয়েছে।”
উল্লেখ্য সৌরভ ঘোষাল, দীপিকা পাল্লিকেল, জ্যোৎস্না চিনাপ্পার মতো ভারতীয় তারকারা সাম্প্রতিক কালে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে দেশকে সাফল্য এনে দিয়েছেন। ২০১৭ এশিয়ান গেমসের দলগত পুরুষ বিভাগে সোনা জিতেছিল ভারত। এরপর ২০১৮ কমনওয়েলথ গেমসের পর ভারতের মিশরীয় কোচ আচরফ কারাগুই চলে যাওয়ার পর থেকে পুরুষ ও মহিলা উভয় দলকেই ভুগতে হচ্ছে। কারাগুই যাওয়ার সময় ভারতীয় ফেডারেশনকে ‘অপেশাদার’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
বিশ্বের ১০ নম্বর সৌরভ ঘোষাল, ৪৮ নম্বর রমিত ট্যান্ডন এবং ৫৫ নম্বর মহেশ মনগাওকরদের মতো পুরুষ স্কোয়াশ খেলোয়াড়দের কাছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ হতে পারত নিজেদের প্রমাণ করার বড় মঞ্চ। কিন্তু সাংগঠনিক ব্যর্থতায় তাঁদের কাছে সেই সুযোগ অধরাই থেকে গেল। উল্লেখ্য, গতবারের বিজয়ী ইজিপ্ট এবারও বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে অন্যতম ফেভারিট। এবার ২২টি দেশ খেলবে এবারের সংস্করণে। প্রতিযোগিতার ৫২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আয়োজন করছে এই প্রতিযোগিতার। ভারত এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে।