১১ বছর একসঙ্গে থাকার পর দু’জনে যৌথভাবেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ছিল, আছে, থাকবে বলে জানিয়েছেন দিয়া
বলিউডে সম্প্রতি যেন বিচ্ছেদের মরশুম চলছে। এবার বিয়ে ভাঙল দিয়া মির্জার। বৃহস্পতিবার টুইট করে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন ৩৭ বছরের এই অভিনেত্রী। ২০১৪ সালের ১৮ অক্টোবর দিয়ার সঙ্গে সাহিল মির্জার বিয়ে হলেও তাঁদের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ২০০৯ সালে। দিল্লিতে একট ফার্ম হাউসে দিয়া ও সাহিলের বিয়ে হয়। বিলাসবহুল সেই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন সুস্মিতা সেন, মহেশ ভূপতি, লারা দত্ত, রাজকুমার হিরানির মত আরও অনেকে।
অবশ্য সাহিলের সঙ্গে দিয়ার প্রাথমিক সম্পর্ক ছিল বিজনেস পার্টনার হিসাবে। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে তাঁরা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। হায়দরাবাদে জন্ম নেওয়া এই বলি নায়িকা টুইটারে জানিয়েছেন, ১১ বছর একসঙ্গে থাকার পর দু’জনে যৌথভাবেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ছিল, আছে, থাকবে বলে জানিয়েছেন দিয়া। পাশপাশি তিনি জানিয়েছেন, বিবাহিত সম্পর্ক ভেঙে গেলেও একে অপরে প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান বজায় থাকবে। তবে ভবিষ্যতে এই বিষয়ে তিনি বা তাঁর স্বামী এই ব্যাপারে কোনও কথা বলবেন না বলেই জানিয়েছেন বলিউড তারকা।
টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘পরিবারের সবাইকে ও বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাই যাঁরা আমাদের পাশে আছেন। এই সময়ে আমরা চাই সবাই যেন আমাদের ব্যক্তিগত জীবনকে সম্মান করে।’
গত বছরেই মেহের জেসিয়ার সঙ্গে ২০ বছরের দাম্পত্য জীবনে ইতি টেনেছিলেন অর্জুন রামপাল। বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন অর্জুন রামপাল ও মেহর জেসিয়া। এর আগে ঋত্বিক ও সুজানের ডিভোর্সের পর সুজানের সঙ্গে অর্জুনের সম্পর্কের গুঞ্জনও শোনা গিয়েছিল। যদিও তা ধোপে টেকেনি। সাম্প্রতিক কালে বিচ্ছেদ হয়েছে মালাইকা অরোরা ও আরবাজ খানেরও। টিনসেল টাউনের খবর অনুযায়ী বনি কাপুরের ছেলে অর্জুন কাপুরের সঙ্গে খুব তাড়াতাড়িই হয়তো বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন ‘মুন্নি’ গার্ল। তবে দিয়া মির্জা নতুন করে কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।