দীঘার বুকে যদি কোনও ব্যবসায়ী বা পর্যটক প্লাস্টিকের ব্যাগ বা থার্মোকলের সামগ্রী ব্যবহার করতে গিয়ে ধরা পড়েন তাহলে তাঁদের হাতেনাতে গুনতে হবে ৫০০ টাকা জরিমানা
কয়েকদিন আগেই সমুদ্র সুন্দরীকে দেখা গিয়েছে রং বদলাতে। হঠাৎই নীল সমুদ্র বদলে যাই কাদামাখা ঘোলাটে বর্ণে।যদিও কারণ হিসেবে দাঁড়িয়েছিল দূষণ নয় ইচ্ছামতীর জলের অনুপ্রবেশ। তবে প্লাস্টিক দূষণ মাত্রার বৃদ্ধি কোনও ভাবেই ভালো সংকেত নয়। যদিও অনেক দিন থেকেই প্রশাসন রীতিমতো সোচচার হয়েছে প্লাস্টিক ব্যবহার নিয়ে। এই অভিযানকে আরও শক্তিশালী করতে দীঘায় আরও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ হল প্লাস্টিকের ব্যবহার। যে কোনও ব্যবসায়ী, হোটেল বা পর্যটকরা যদি প্লাস্টিকের ব্যাগ বা থার্মোকলের থালা বা অন্যান্য প্লাস্টিক জাতীয় সামগ্রী ফেলেন বা কেনাবেচা করেন, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবারই এই মর্মে জেলার সভাধিপতি দেবব্রত দাস দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করেছেন। এরপর শুক্রবার সকাল থেকে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে খোদ সভাধিপতি দেবব্রত দাস নিজেই নেমে পড়লেন দিঘা পর্যটন এলাকায়। নিজে হাতে মাইক নিয়ে দিঘার একের পর এক বাজার ঘুরে বেড়ালেন তিনি। প্রথমদিনের মতো ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে তিনি জানিয়ে দেন, আজ থেকেই কেউ কোনও ভাবে প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করবেন না।
যদি কোনও ব্যবসায়ী বা পর্যটক প্লাস্টিকের ব্যাগ বা থার্মোকলের সামগ্রী ব্যবহার করতে গিয়ে ধরা পড়েন তাহলে তাঁদের হাতেনাতে গুনতে হবে ৫০০ টাকা জরিমানা। সভাধিপতি জানান, পরিবেশ বাঁচাতে প্রশাসনকে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেই হচ্ছে। এখন থেকে সাবধান না হলে অদূর ভবিষ্যতে পর্যটন কেন্দ্রের চেহারাই বদলে যাবে।
ইতিমধ্যে দিঘার আনাচে কানাচে জোরদার প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের পক্ষ থেকে মাইকিং করে প্রতিটি এলাকায় প্রচার করা হচ্ছে। পর্যটকরা এলে তাঁদেরও এই বিষয়ে সচেতন করার জন্য ব্যবসায়ী ও হোটেলগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।