মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় এত বড় গোলমালের পরেও কিভাবে নির্বিকার মধ্য শিক্ষা পর্ষদ তাই নিয়ে সমালোচনা ঝড় বিভিন্ন মহলে
মাধ্যমিকের উত্তরপত্র রিভিউ ও স্ক্রুটিনি করতেই আচমকা বদলে গেল মেধাতালিকার চিত্রটা| প্রথম তিন জন ছাড়া ৫১ জনের মেধাতিলায় স্থান পেয়েছেন মাত্র ৪১ জন। প্রথম দশজনের থেকে তালিকা থেকে বাদ গেল ১৫ জন পরীক্ষার্থীর নাম| এবার প্রশ্ন উঠছে মাধ্যমিকের মত এত গুরুত্বপূর্ন একটা পরীক্ষার খাতা দেখায় এই গাফিলতি কেন?
মাধ্যমিকে যে মেধাতালিকা প্রকাশ হয়েছিল, তাতে ৫১ জনের নাম ছিল। সেই তালিকা অনুযায়ী প্রথম স্থানাধিকারী পেয়েছিল ৬৯৪। দ্বিতীয় পেয়েছিল ৬৯১ এবং তৃতীয় স্থানে থাকা পড়ুয়া পেয়েছিল ৬৮৯। যুগ্ম তৃতীয়ের মধ্যে রায়গঞ্জ গার্লস হাই স্কুলের ক্যামেলিয়া রায়-এর এক নম্বর বেড়েছে ৬৯০। অর্থাৎ সে তৃতীয়ই রইল। কিন্তু তার সঙ্গে থাকা বাকিরা চতুর্থ স্থান দখল করেছে। অন্যদিকে আলিপুর দুয়ারের বড়বিশা হাইস্কুলের অরিন সাহার নম্বর ছিল ৬৮০। রিভিউয়ের পর তার নম্বর বেড়ে হয়েছে ৬৮২। স্বাভাবিকভাবে এই ছাত্র দশম স্থানে চলে এসেছে। কোচবিহারের দিনহাটা গার্লস হাইস্কুলের তন্নিষ্ঠা দত্ত ৬৮০ পেয়েছিল। কিন্তু ৬৮২ পেয়ে সেও দশম স্থান দখল করেছে।
স্ক্রুটিনিতে আবেদন করা মোট ৩৪ হাজার ১৭১ জনের মধ্যে ৯ হাজার ২১২ জনের নম্বর পরিবর্তন হয়েছে। নম্বর পরিবর্তনের হার ২৬.৯৬ শতাংশ। এর পরেই অদলবদল হয়েছে চলতি বছরের মাধ্যমিকের মেধা তালিকার| বাঁকুড়ার রামকৃষ্ণ মিশন সারদা বিদ্যাপীঠের সায়ন মণ্ডল ৬৮০ নম্বর পেয়ে একাদশ স্থানে ছিল| কিন্তু রিভিউয়ের পর দুই নম্বর বেড়ে দশম স্থান দখল করল সে। বাঁকুড়া জেলা স্কুলের কৌস্তভ সিংহ ৬৭৪ পেয়েছিল। কিন্তু তার আট নম্বর বেড়ে হয়েছে দাঁড়িয়েছে ৬৮২। ফলে সেও দশম স্থানে।
কিন্তু মেধাতালিকায় এত বড় গোলমালের পরেও কিভাবে নির্বিকার মধ্য শিক্ষা পর্ষদ তাই নিয়ে সমালোচনা ছড়াচ্ছে বিভিন্ন মহলে|