সুন্দরবন রক্ষায় নতুন উদ্যোগ বনদফতরের

< 1 - মিনিট |

বাঘের সংখ্যা বাড়ালেই চলবে না, বাঘকে রক্ষাও করতে হবে। আর সেই কারণেই বাঘ যে এলাকায় থাকে সেই এলাকাকেও রক্ষা

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্রের পরিবর্তন হচ্ছে দিনের পর দিন। আর সেই পরিবর্তিত বাস্তুতন্ত্রের ফলে বিভিন্ন নতুন নতুন সমস্যা তৈরি হচ্ছে সুন্দরবনের বুকে। বাস্তুতন্ত্রের এই পরিবর্তন ও তার ফলে সুন্দরবনে বেড়ে ওঠা সমস্যা গুলিকে চিহ্নিত করে সেগুলি সমাধানের জন্য উদ্যোগী হল রাজ্য বন দফতর। ডাবলু ডাবলু এফ(ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার), ডিসকভারি ইন্ডিয়া, আই এস এস আর কলকাতা ও রাজ্য বন দফতরের যৌথ উদ্যোগে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা গঠনের কাজ শুরু হল সুন্দরবনে।

বৃহস্পতিবার সুন্দরবনের সজনেখালীতে একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন রাজ্যের বনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অনুষ্ঠানে বনমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল(বন্যপ্রাণ) রবিকান্ত সিনহা, অতিরিক্ত মুখ্য বনপাল পিয়ার চাঁদ, সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা নীলাঞ্জন মল্লিক, ডাবলু ডাবলু এফের সিও রবি সিং, ডিসকভারি ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেঘনা টাটা সহ আরও বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
সম্প্রতি সারা দেশের সাথে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু শুধু বাঘের সংখ্যা বাড়ালেই চলবে না, বাঘকে রক্ষাও করতে হবে। আর সেই কারণেই বাঘ যে এলাকায় থাকে সেই এলাকাকেও রক্ষা করার আগে প্রয়োজন বলেই দাবি করেন বনমন্ত্রী। সমুদ্রের নোনা জল ও নদীর মিষ্টি জলের ক্রমাগত মিশ্রনের ফলে প্রতিনিয়ত যেভাবে সুন্দরবনের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে তাতে কপালে যথেষ্ট চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পরিবেশবিদদের। নদীগুলির জলে লবনতা বৃদ্ধির ফলে ইতিমধ্যেই সুন্দরী গাছের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে সুন্দরবনে। ব্রাত্য বলেন, “সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র রক্ষার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। তাই বাস্তুতন্ত্রের এই পরিবর্তন নিয়মিত পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। এবং কিভাবে সুন্দরবনকে রক্ষা করা যায় তা নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে আগামী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে”।

Join the Conversation

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news