মুম্বই বিমানবন্দরে অভিবাসন দফতরের হাতে সস্ত্রীক আটক জেট এয়ারওয়েজের কর্ণধার নরেশ গোয়েল। মুম্বই থেকে দুবাই হয়ে লন্ডনে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল
মুম্বই বিমানবন্দরে অভিবাসন দফতরের হাতে সস্ত্রীক আটক জেট এয়ারওয়েজের কর্ণধার নরেশ গোয়েল। মুম্বই থেকে দুবাই হয়ে লন্ডনে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
সূত্রের খবর, শনিবার মুম্বই বিমানবন্দরে ‘ফ্লাই এমিরেটস’-এর ইকে-৫০৭ নম্বর বিমানে চাপেন নরেশ গোয়েল ও তাঁর স্ত্রী অনিতা গোয়েল। বোর্ডিংয়ের পর রানওয়ের দিকে বেশ কিছুটা এগিয়েও যায় বিমানটি। তারপরই মাঝপথে এটিসি থেকে পাইলটদের ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। নরেশ গোয়েল ও তাঁর স্ত্রীকে নামিয়ে আনেন অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, ‘মিনিস্ট্রি অফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স’ ও ‘সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস’-এর তরফে আগেই গোয়েল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করা হয়েছে। সেইমতো বিমানবন্দরে তাঁদের আটক করা হয়। যদিও সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে ওইদিনই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে গোয়েলের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ‘মিনিস্ট্রি অফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স’ ও ‘সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস’। আঁচ বাড়লে বিজয় মালিয়া, নীরব মোদিদের মতোই বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন গোয়েল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। কয়েকদিন আগেই গোয়েল দম্পতির পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার আবেদন জানিয়েছিল জেটকর্মীদের সংগঠন।
উল্লেখ্য, বিপুল ঋণের বোঝায় আপাতত দেউলিয়া দেশের সব থেকে পুরনো বেসরকারি বিমানসংস্থা। মাঝখানে আলোচনা চললেও অবশেষে লোন দিতে অস্বীকার করে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া-র নেতৃত্বে ব্যাংক কনসোর্টিয়াম। ফলে চাকরি হারাতে হয়েছে কয়েক হাজার কর্মীকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে দরবার করেছিলেন তাঁরা। যদিও সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। ধুঁকতে থাকা বিমান সংস্থার জন্য করদাতাদের টাকা দিতে রাজি হয়নি কেন্দ্র সরকার। তারপরই জেটের বোর্ড অফ ডিরেক্টরস থেকে সরে দাঁড়ান সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গোয়েল ও তাঁর স্ত্রী অনিতা গোয়েল।