আটটি সেতুর পরে আরও ন’টি উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও লোড টেস্ট তা সেপ্টেম্বরেই করতে চায় কেএমডিএ’র বিশেষজ্ঞ কমিটি। কিন্তু লালবাজার তাতে রাজি নয়
একটার পর একটা সেতু পরীক্ষার নামে নিষেধাজ্ঞার বহরে ঘুম উড়েছে কলকাতা পুলিশের। পুজোর আগে আর কোনও ব্রিজ বা উড়ালপুল বন্ধ রাখতে চায় না তারা। কেএমডিএ’র কর্তাদের সেই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
কেএমডিএ’র এক কর্তা বলেন, আমরা শহরের আটটি উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য পুলিশকে জানিয়েছিলাম। সেগুলি হল, কালীঘাট ব্রিজ, চিংড়িঘাটা উড়ালপুল, শিয়ালদহ উড়ালপুল, বাঘাযতীন উড়ালপুল, অরবিন্দ সেতু, বিজন সেতু, জীবনানন্দ সেতু এবং বঙ্কিম সেতু। বঙ্কিম সেতু বাদে প্রতিটি উড়ালপুলই কলকাতার উপর। প্রতিটি সেতু যান চলাচলের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিজন সেতু ছাড়া প্রতিটি উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও মেরামতির কাজ করার জন্য দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেছে লালবাজার। সেই মত তিনদিন ধরে ওই সব উড়ালপুলে যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে।
পুলিশ চায়, যে ক’টি উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা দরকার, তা আগস্ট মাসেই হয়ে যাক। সেপ্টেম্বর থেকে পুজোর বাজার পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে। সেই সময় ব্যস্ত উড়ালপুল বন্ধ রাখলে খুবই অসুবিধা হবে। সাধারণ মানুষকে খুব সমস্যায় পড়তে হবে। তাই সেই সময় যান চলাচল বন্ধ রাখা যাবে না।
আটটি সেতুর পরে আরও ন’টি উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও লোড টেস্ট করতে চায় কেএমডিএ’র বিশেষজ্ঞ কমিটি। তা সেপ্টেম্বরেই করতে চায় কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু লালবাজার তাতে রাজি নয়। তারা চায়, পুজোর পরে উড়ালপুল বা ব্রিজ বন্ধ করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হোক। তারা সেই কথা কেএমডিএ কর্তাদের জানিয়ে দিয়েছে বলে কেএমডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে।