‘ভূত নয় পরী নয় দেখেছে অল্প লোক।
ভূতপরী কেন বলে তা নিয়ে গল্প হোক।’
কলকাতা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বর্তমানে মেতেছে হরর ছবি নিয়ে| তাই,এবার ‘ভূত পরী’ হয়ে হাজির হলেন জয়া আহসান| এবার পরিচালক সৌকর্য ঘোষাল হাজির হলেন তার নতুন ছবি ‘ভূত পরী’ নিয়ে|মুক্তি পেল ‘ভূত পরী’-র পোস্টার|
ছবির গল্প আক্রান্ত এক বাচ্চা ও এক মহিলা ভূতকে নিয়ে । মহিলাটির মৃত্যু হয়েছে ১৯৪৭ সালে। হঠাৎই বাচ্চাটির সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। তবে এবারের প্রেক্ষাপটটা ২০১৯। সে এখন ‘ভূত পরী’। এই বাচ্চাটির সাহায্যেই সে জানতে পারে তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না, খুন হতে হয়েছে তাঁকে। এই খুদে গোয়েন্দার সাহায্যেই ‘ভূত পরী’ তাঁর মার্ডার মিস্ট্রির সমাধা ঘটায়। খুঁজে পায় তাঁর খুনিকে। কীভাবে? ঠিক এই বিষয়টিই সৌকর্যের ছবির উপজীব্য।‘ভূত পরী’র চরিত্রে দেখা জয়া আহসানকে । বাচ্চাটির চরিত্রে দেখা যাবে বিষান্তক মুখোপাধ্যায়কে । আরও তিন গুরুত্বপূ্র্ণ চরিত্রে রয়েছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, সুদীপ্তা চক্রবর্তী এবং শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়।
এই প্রসঙ্গে পরিচালক সৌকর্য বলেন,’বহুদিন থেকেই একটা ভূতুড়ে ছবি করার কথা ছিল। আসলে আমরা যে ধরনের হরর জঁরের ছবি এখন দেখি সেগুলো আমার কাছে পাশ্চাত্য-ঘেঁষা ঠেকে। একটা জীবিত মানুষের মধ্যে যেমন রাগ, অভিমান, দুঃখ কিংবা সততা থাকে, ঠিক সেরকমই একটা ভূতের জীবনী নিয়ে ‘ভূত পরী’। ভূতুড়ে ছবি নিয়ে সাধারণত একটা ধারণা রয়েছে যে হরর ঘরানা মানেই দুটো ভাগ। হয় তাঁর মধ্যে কৌতুকরস থাকবে নাহলে ভূত ভয় দেখায়। কিন্তু ভূতের মানবিক দিকটা কখনও দেখানো হয় না। সেখানেই ‘ভূত পরী’। একটু রহস্য, একটু ট্রেজার হান্ট সবই থাকছে ছবিতে। এককথায় আদ্যোপান্ত বাঙালি ভূতের গল্প ‘ভূত পরী’।