দেশ এবং বিদেশের মাটি টেস্ট জয়ের সংখ্যা মিলিয়ে ৬০ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি জিতেছিলেন ২৭টি টেস্ট। সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতে একই সঙ্গে ধোনিকেও স্পর্শ করলেন বিরাট। রাহানে শতরান এবং বোলারদের দাপটে ভর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩১৮ রানে হারাল ভারত।
সৌরভ গাঙ্গুলির রেকর্ড যে বিরাট কোহলি ভাঙতে চলেছেন তার আভাস আগেই পাওয়া গেছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেই সেই রেকর্ড টপকে গেলেন বিরাট। কোহলির নেতৃত্বে বিদেশের মাটিতে এটি ভারতের ১২ নম্বর টেস্ট জয়। ২০০০ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত ভারতীয় দলের অধিনায়ক থাকার সময় সৌরভ গাঙ্গুলি বিদেশের মাটিতে দেশকে ২৮টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে ১১টি টেস্ট জিতেছিলেন। দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে এবার সৌরভকে টপকে গেলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বিদেশ মাটিতে ২৬ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে ১২টি টেস্ট জিতে নজির গড়লেন বিরাট। অন্যদিকে দেশ এবং বিদেশের মাটি টেস্ট জয়ের সংখ্যা মিলিয়ে ৬০ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি জিতেছিলেন ২৭টি টেস্ট। সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতে একই সঙ্গে ধোনিকেও স্পর্শ করলেন বিরাট। রাহানে শতরান এবং বোলারদের দাপটে ভর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩১৮ রানে হারাল ভারত। নিজেদের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে রানের নিরিখে এটাই ভারতের সব থেকে বড় জয়।
তৃতীয় দিনে শেষে তিন উইকেউ হারিয়ে ১৮৫ রান তুলেছিল ভারত। চতুর্থ দিনে সেখান থেকে শুরু করে ভারত। হনুমা বিহারীকে নিয়ে ১৩৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টারশিপ গড়ে তোলেন রাহানে। তাঁর নিজের সংগ্রহ ১০২ এবং হনুমা বিহারি করেন ৯৩ রান। প্রায় দুই বছর বাদে শতরান করার স্বাদ পেল রাহানে। এই নিয়ে টেস্টে দশম শতরান করল ভারতের অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। সাত উইকেট হারিয়ে ভারতের রান যখন ৩৪৩ তখনই ইনিংস ডিক্লিয়ার ঘোষণা করেন বিরাট। এই টেস্ট জেতার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ছিল ৪১৯ রান।
ইশান্ত এবং যশপ্রীতের বোলিং দাপটে চা বিরতি পর্যন্ত ১৫ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে কার্যত ধুঁকতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। চা বিরতির পর খেলা শুরু হওয়ার পর ৫০ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ উইকেটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে কেমার রোচে এবং মিগুয়েল কামিনস। শেষ পর্যন্ত ১০০ রানে শেষ হয়ে যায় ক্যারাবিয়ান ইনিংস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করেন কেমার রোচে। ৩১ বলে ৩৮ রান করেন তিনি। এর আগে ভারতের ২৯৭ রানের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়ে যায় ২২২ রানে৷ প্রথম ইনিংসের ৭৫ রানের লিড মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের থেকে ৪১৮ রানে এগিয়ে থাকে ভারত৷ অর্থাৎ জয়ের জন্য ক্যারিবিয়ানদের সামনে ৪১৯ রানের টার্গেট ঝুলিয়ে দিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া৷ কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারল না ক্যারাবিয়ানরা।
রানের নিরিখে নিজেদের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সব থেকে বড় থেকে ব্যবধানে জয় পেয়েছে ভারত। আইসিসির বিশ্বটেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এই টেস্ট জেতার ফলে ভারতের ঝুলিতে এল ৬০ পয়েন্ট। আগামী ৩০ আগস্ট জামাইকার কিংস্টোনে শুরু হবে। দ্বিতীয় টেস্টে যদি বিরাট কোহলি জয় পায় তবে ধোনিকেও ছাপিয়ে যাবেন তিনি।