অভিযুক্তের কাছ থেকে প্রায় শ’ খানেক জাল চালান, একটি নাইন এমএম অত্যাধুনিক পিস্তল, দু রাউন্ড কার্তুজ ও তার ব্যাবহৃত দামী গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ
নদীর বুক চিরে হচ্ছে খাক। অবাধে চলছে বালি পাচার। পুলিশ প্রশাসনের নজর এড়াতে জাল চালান দিয়ে চলছিল বালি পাচার। পুলিশের জালে ধরা পড়ল জাল চালান দিয়ে বালি পাচারের চক্র। মঙ্গলবার কাঁকসার বনকাটি থেকে জাল চালানসহ সশস্ত্র এক বালি মাফিয়া ধরা পড়ল পুলিশের জালে।
পুলিশ সূত্রের খবর ধৃতের নাম মিলন অধিকারী। বনকাটি এলাকায় বাড়ি। তার কাছ থেকে শ’খানেক জাল চালান, একটি নাইন এমএম অত্যাধুনিক পিস্তল, দু রাউন্ড কার্তুজ ও তার ব্যাবহৃত দামী গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
গত কয়েকবছর ধরে অজয় নদীর বনকাটি অঞ্চলে বসুধা, নারকেল বাগান, নিমটুকরী, সাতকাহানিয়া বাঁশতলা, ডাঙাল ঘাটে রমরমিয়ে চলছে মাফিয়াদের বালি পাচারের চোরাচালান। প্রশাসন অভিযান চালালে ধরাও পড়ে।
কিন্তু তারপর আবারও একই ঘটনা। আবার রাস্তায় জাল চালান দেখিয়ে পুলিশের চোখ এড়িয়ে অবাধে চলছিল বালি পাচার। ধৃত চালকদের জেরা করে জাল চালান চক্রের হদিশ পায় পুলিশ। আর সেই সুত্র ধরে পুলিশ মিলনের খোঁজ শুরু করে। মঙ্গলবার সকালে বনকাটির এগারোমাইল মোড়ে একটি হোটেলে নিজের ডেরা থেকে মিলনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এখন প্রশ্ন,চালানের সই যেমন সিল কিভাবে জাল তৈরী করল? তাহলে কি আরও বড় কোন কেউ জড়িত এই চক্রে ? মঙ্গলবার ধৃত মিলনকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ জানিয়েছে,” ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”