পরমাণু বোমা হারিকানের পথ বদলাতে তো পারবেই না, উল্টে রেডিয়ো-অ্যাক্টিভ প্রভাব নিয়েই ভূখণ্ডে আছড়ে পড়বে হারিকেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ বিজ্ঞানীমহলের
জাতীয় নিরাপত্তা ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটির আধিকারিকদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক বসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই রুদ্ধদ্বার বৈঠকের বেশ কিছু খবর মার্কিন নিউজ ওয়েবসাইটের একটি রিপোর্টে প্রকাশ করেছে।
রিপোর্ট প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তা আধিকারিকরা হারিকেনের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির কথা তুলে ধরতেই ট্রাম্প বলে ওঠেন, “বুঝতে পেরেছি, বুঝতে পেরেছি। আমরা ওদের পরমাণু বোমা দিয়ে খতম করতে পারি না? আফ্রিকার উপকূলে হারিকেন শক্তি সঞ্চয় করতে আরম্ভ করেছে। ওটা যখন আটলান্টিক ধরে এগিয়ে আসবে, আমরা হারিকেনের কেন্দ্রে বোমা ফেলতে পারি। তাতে হারিকেন ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে। এটা করা যায় না?”
ওই মিডিয়া রিপোর্টের দাবি, এর আগেও উচ্চপদস্থ আমলাদের সঙ্গে বৈঠকে এই প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প। ২০১৭-এর জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মেমোতে সে কথার উল্লেখও রয়েছে।
‘ন্যাশনাল ওশিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’-এর অবশ্য বক্তব্য, “এর ফলাফল বিধ্বংসী হতে পারে। পরমাণু বোমা হারিকানের পথ বদলাতে তো পারবেই না, উল্টে রেডিয়ো-অ্যাক্টিভ প্রভাব নিয়েই ভূখণ্ডে আছড়ে পড়বে হারিকেন।”
সংবাদমাধ্যমে এই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর হোয়াইট হাউসের বক্তব্য, “জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত স্তরে কী আলোচনা হয়েছে বা হয়নি, আমরা তা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।” যদিও এমন মন্তব্য করেননি বলে ওই মিডিয়া রিপোর্টের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই।