মেন্টর.com

5 - মিনিট |

সফল হওয়ার পথটা চিরকালই অমসৃণ। আত্মবিশ্বাস আর চ্যালেঞ্জ নিয়ে সে পথ অনায়াসে পেরিয়েছেন কালজয়ী মানুষেরা। তাঁদের হাল না ছাড়ার গল্প

শ্রীজীব

 

কার্ল মার্কস

অর্থের অভাবে বড় মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারলেন না। মারাও গেল। শবদাহ করার পয়সা পর্যন্ত ছিল না। এক ফরাসি উদ্বাস্তু দু- পাউন্ড দিয়ে সাহায্য করেছিলেন…

দারিদ্র্য আর জাতপাত। দুয়ে মিলে তাঁর জীবন। স্কুলের পাঠ শেষ করে আইন নিয়ে শুরু হল পড়াশুনো। অবশ্য এই বিষয়টির প্রতি তাঁর কোনও আগ্রহ ছিল না। বাবার ইচ্ছেতে চলল পাঠ। শেষও হল। বরাবরই মেধাবী ছাত্র ছিলেন তিনি। সমস্ত বিষয়ে তাঁর পারদর্শিতা ছিল দেখার মতো।

টু স্যাক্রিফাইস মাইসেলফ ফর হিউম্যানিটিতে তিনি নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন। একজন ইহুদি হয়ে খাঁটি জার্মান মহিলা জেনিভন ওয়েস্টফ্যালেনকে তিনি নিজের জীবনের সঙ্গী হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর জীবনের এমন একটা ঘটনা বেশ উল্লেখযোগ্য। দুঃখদারিদ্র্যকে কীভাবে জয় করতে হয় তা তাঁর জীবন থেকে বেশ বোঝা যায়।

প্রতিকূল ভাগ্য তাঁকে সবসময় পিছু টেনেছে।বিড়ম্বিত করেছে। দর্শনশাস্ত্রে ডক্টরেট করার পর চাকরির খোঁজে বেরিয়ে পড়লেন। মিলল না কোনও চাকরি। দারিদ্র্য আরও জেঁকে বসল। সাদরে তাকে গ্রহণ করল জীবনে। কিন্তু পেট বাধ সাধে। খোঁজ চলল কাজের। আবার হতাশ হলেন। স্থির করলেন একজন অ্যাজিটেটর হিসাবে তৈরি করার। করলেনও। দারিদ্র্যকে সঙ্গী করে কলম চলল। পরিচ্ছন্ন আর সংস্কারমুক্ত মন নিয়ে নিজেকে ডুবিয়ে দিলেন কাজে, লেখাতে।

নিজের ক্ষমতাবলে রাডিক্যাল চিন্তাধারার নেতৃত্বভার তিনি নিলেন। ঠিক এই সময় দার্শনিক হেগেলের সঙ্গে তাঁর আলাপ-পরিচয়। সখ্যতা গড়ে উঠল। কয়েকজন মিলে গড়ে তুললেন RHEINSCHE ZEITTING নামে একটি পত্রিকাগোষ্ঠী। দায়িত্বভার নিলেন তিনি। চলল কলম। সেই থেকে কলোনে স্থায়ীভাবে শুরু করলেন বসবাস। একের পর এক প্রবন্ধ লিখে চললেন। সেই সময়ে প্রাশিয়ান সরকারের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ জানালেন, লিখলেনও। নরম-সুরের সাংবাদিকতাকে সাহিত্যিকে মিশিয়ে গড়ে তুললেন সংবাদজগতের নতুন ভাষা। সেই প্রথম শোনা গেল জোর গলায়, কঠিন সমালোচনার নতুন পথ। যা সাংবাদিকতার ইতিহাসে স্মরণীয়।

তিনি লেখাকে বিশ্রাম দিলেন না। এদিকে চরম অর্থের সংকট। এলেন প্যারিস। বন্ধুত্ব গড়ে উঠল ফ্রেডরিক এঙ্গেলসের সঙ্গে। বয়সে দুবছরের ছোট। শিষ্যত্ব গ্রহণ করলেন এঙ্গেলস। রাজনৈতিক সহযোগী হলেন। চলল কর্মোদ্যোগ। তাঁর লেখা তরুণ সমাজে বেশ সাড়া ফেলল। গ্যেটে সাহিত্যে যেভাবে প্রতিবাদ করেছিলেন তাঁরই সুর শোনা গেল মার্কসের অর্থনৈতিক চিন্তাভাবনায়। বইয়ের পর বই প্রকাশ হতে লাগল। দুর্দশা তাঁকে কোনোদিন পিছু টানতে পারেনি। ভলতেয়ারের আত্মা কি মার্কসের মধ্যে নতুন করে ফিরে এল!এ প্রশ্ন ছিল মানুষের।

যাঁরা সমাজের থেকে বঞ্চিত, যাঁদের শ্রমে মানুষের সুখ-সুবিধা তাঁদেরকে বঞ্চিত হতে হয় এসব থেকে, তারই বিরুদ্ধে কলম ধরলেন মার্কস। সমাজ বিপ্লবের থেকে বড় কিছু হতে পারে না এমনটাই মনে করলেন মার্কস। সমাজ তো চিরকাল বলে এসেছে ঈশ্বরের কথা, পরলোকের কথা।কিন্তু মার্কস মনে করলেন, মানুষের আশু সমস্যা নিয়ে তিনি নিজেকে পরিচালনা করবেন। যা পরবর্তীকালে প্রকাশ পেল কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো নামে। শ্রেণি সংগ্রামের পথ হল সুগম। তৈরি হল রুশ বিপ্লবের পথ। এমন সময় নেমে এল যা মার্কসের জীবনকে কিন্তু ভাঙতে পারেনি। এমনকী অর্থের অভাবে বড় মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারলেন না। মারাও গেল। শবদাহ করার পয়সা পর্যন্ত ছিল না। এক ফরাসি উদ্বাস্তু দু-পাউন্ড দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। তা দিয়ে হল শবদাহের কাজ।অর্থের অভাবে তিন মেয়ের অকালমৃত্যু পর্যন্ত হয়। দারিদ্র্য, ক্ষুধা আর ব্যাধি এই তিন নিয়েই গড়ে উঠেছিল তাঁর জীবন। অথচ তিনি বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ লেখক। লিখে কিন্তু তিনি জীবিকা নির্বাহ করতে পারেননি। সেখানেই অসফল। অথচ যাঁর লেখা সারা পৃথিবীতে মানুষের কাজে লেগেছিল।

তাঁর ক্যাপিটাল-কে বাইবেল অফ দি প্রোলেতারিয়েত বলা হয়। দাস ক্যাপিটাল তো এক ও অভিন্ন যা ইতিহাসকে করে তোলে জীবন্ত, গতিময়। ষাট বছর বয়স পর্যন্ত তাঁর স্বাস্থ্য ছিল ঠিকঠাক। অতিরিক্ত পরিশ্রম, ঠিকভাবে না-খেতে পাওয়া শরীর আর বাধ মানল না। ভেঙে পড়ল। একদিকে স্ত্রীর মৃত্যু, মেয়ের অকালমৃত্যু সব মিলে মৃত্যুর দিকে পা রাখলেন তিনি।

গান্ধীজি

সারা জীবন মানুষের জন্য করে গেলেন লড়াই। মুক্তির স্বাদ তো পেলেন, সঙ্গে না-ছাড়ার জীবনপণ লড়াই আমাদের জোগাল নতুন ভাষা

দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান গেলেন গান্ধী।মামলার শুনানি হবে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালেত। পরনে ছিল কোট-প্যান্ট। মাথায় পাগড়ি। ম্যাজিস্ট্রেট তো কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন।তারপর বললেন, পাগড়ি খুলতে। অপমান সহ্য করতে পারলেন না। চলে এলেন কোট ছেড়ে। তার কিছুদিন পর ট্রেনে যাবার অভিজ্ঞতা সে আর ভোলার নয়। বুঝলেন, এখানে ভারতবাসীদের কী অবস্থা। কী ঘৃণার চোখে না দেখে। প্রতি পদে পদে অপমান। বেঁচে থাকা এক কঠিন জ্বালা। গান্ধীজি ঠিক করলেন, এখানে বেশ কিছুকাল থেকে যাবেন। নাটালে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর জীবন ঘটে নানা অপমানজনক ঘটনা। এখানে রাজনৈতিক চেতনা তাঁকে জোগাল নতুন ভাষা।

যে মামলা নিয়ে এখানে এসেছিলেন তা শেষ হল কয়েক মাসে। সেটা মিটেছিল অবশ্য গান্ধীজির নিজস্ব চেষ্টায়। একেবারে আদালতের বাইরে। এদিকে ভারেত ফেরার জন্য তোড়জোড় চলছে। এলেন ডারবান। জানতে পারলেন, নাটাল সরকার ভারতীয়দের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চায়। তার ব্যবস্থা প্রায় পাকা। এমন ঘটনা এখানকার সংবাদপত্রে প্রকাশ পেয়েছে। এর ফলে ভারতীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। তাঁরা চান, এর একটা বিহিত করতে। গান্ধী এ খবের কষ্ট পেলেন। এবং এখানে বেশ কিছুটা সময় থেকে যাবার সিদ্ধান্ত নিলেন। তাঁর সেই সত্যাগ্রহ সংগ্রাম চিনিয়েছিল সারা বিশ্বেক। এমনকী ভারতবাসীর কাছে হয়ে উঠেছিল এক আদর্শ।

সে এক জীবনকথা! তাঁর বাণী। এক গোঁড়া ধর্মীয় পরিবারে তো জন্মালেন। আর মায়ের জীবন কাটত পুজোআচ্চা নিয়ে। এদিকে ছেলের বয়স হল সাত। ছোটো শহর পোরকন্দরে কাটল এই সাতটা বছর। এখানেই লেখাপড়া শুরু স্থানীয় একটি স্কুলে। অঙ্কে ছিল ভীষণ ভয়। আর গুণ তো শিখেছিলেন অতি কষ্টে। তার পর মা-বাব পোরবন্দর থেকে চলে আসেন রাজকোট। বাবা এখানে দরবারে চাকরি নিলেন। তা-ও আবার দেওয়ানের চাকির।

এদিকে তো গান্ধীজির বয়স বাড়তে থাকে।যখন তেরো, বিয়ে করলেন তিনি। কস্তুরবা হলেন সঙ্গী। একবছর পড়াশুনো হল বন্ধ। তারপর রাজকোটের একটি স্কুলে ভর্তি হলেন। পড়াশুনো যাঁর নেশা সে কি সেখান থেকে পিছোয়। যথা সময়ে প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করেলেন।ভর্তি হলেন ভাবনগরে শ্যামদাস কলেজে।এখানে কোনোমতে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারলেন না। চলে গেলেন পোরবন্দরে। তারপর ব্যারিস্টারি পড়তে বিদেশে চলে যাওয়া। তখন উনিশ।

শিখলেন লাতিন, ফরাসি। সঙ্গে ইংরেজি ও মার্কিন সাহিত্যপাঠ। আইনশাস্ত্রের সঙ্গে সমানতালে চলল পদার্থবিদ্যার চর্চা। চার বছর কাটল। শেষে ফিরলেন নিজের দেশে। শুরু করলেন রাজকোটে আইনব্যবসা। তারপর তো পোরবন্দর থেকে আসল সেই অনুরোধ। এক কোম্পানির আইনি দায়িত্ব নিয়ে চলে গিয়েছিলেন সেই দক্ষিণ আফ্রিকা।

কালা আইনের সংগ্রাম ছড়িয়ে পড়ল সারা পৃথিবীতে। ফিরে আসলেন দেশে। দেশকে বাঁচাতে হবে। ব্রিটিশদের সরাতে হবে। সারা ভারতবর্ষ ঘুরলেন।বুঝলেন, নিজের দেশকে। জানলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি। তারপর পথচলা শুরু। বিহারের চম্পারণে গড়ে তুললেন সত্যাগ্রহ আন্দোলন। এখানে নীলচাষিদের ওপর চলছিল চরম অত্যাচার। তারই প্রতিবাদে ঝাঁপিয়ে পড়লেন তিনি।

এদিকে তো বিশ্বযুদ্ধ শেষ হল। ভারতের মানুষ সাহায্য করল তাঁদের সবকিছু দিয়ে। পরিবর্তে পেল রৌলট আইন। গান্ধীজি তো চুপ করে থাকতে পারলেন না।ফল হিসাবে, জালিয়ানওয়ালাবাগের প্রায় কুড়ি হাজার সাধারণ মানুষকে গুলি চালিয়ে মারা হল।

এমন অবস্থায় অমৃতসরে বসল কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশন।আমাদের দেশকে দিতে হবে স্বাধীনতা। এই স্লোগানে স্লোগানে সবাইকে দিলেন ডাক। শুরু করলেন অহিংস অসহযোগ আন্দোলন। তোমরা সাড়া দিলে আমরা আমাদের দেশকে একবছরেরর মধ্যে নিজেদের বাঁচার অধিকারটুকু ফিরিয়ে আনতে পারব। নিজেদের বাঁচার তাগিদে, দেশকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন সবাই। বিদেশি পোশাক বাদ দিয়ে পরলেন খদ্দর। জেলখানা ভরে গেল। এদিকে গান্ধীজিকে পাঠানো হল সবরমতী জেলে। তাও আবার ছবছরের জন্য।

মাত্র একুশ বছর বয়সে রাজশক্তির বিরুদ্ধে যে ঘোষণা তিনি করেছিলেন, তা ছিনিয়েও নিয়েছিলেন। তাদেরকে করেছিল ভারতছাড়া। এদিকে তো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। শাসকরা চাইল সাহায্য। বিনিময়ে রাতের অন্ধকারে গান্ধীজি এবং প্রমুখ কংগ্রেস নেতাদের করা হল বন্দি। এবং কোনো এক অজানা জায়গায় আটকে রাখা হল তাঁদেরকে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ। কংগ্রেস নেতারা হলেন মুক্ত। শাসকদের ছাড়তে হল দেশ। ভারত পেল তার নিজের অধিকার। পেল স্বাধীনতা। কিন্তু চলে গেলেন তিনি। যা-কিছু ভালো, দেখলেন মাত্র পাঁচ মাস। তারপর তো বিদায়। সারা জীবন মানুষের জন্য করে গেলেন লড়াই। মুক্তির স্বাদ তো পেলেন, সঙ্গে না-ছাড়ার জীবনপণ লড়াই আমাদের জোগাল নতুন ভাষা।

বিল গেটস

ছেলেটি প্রথম দেখল কমপিউটার। দেখেই এমন ভালোলাগা। লিখে ফেলল এক প্রোগাম যা দিয়ে কমপিউটারে খেলা যায়। যন্ত্রটার প্রতি ছিল তাঁর দুর্দনীয় আকর্ষণ…

বাবা সফল আইনজীবী, মাও প্রতিষ্ঠিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটেল শহরের এক উচ্চবিত্ত পরিবার। মা-বাবার ইচ্ছা, ছেলে আইনজীবীই হোক। যথারীতি তাকে ভর্তি করা হল নামকরা এক স্কুলে। এরই মধ্যে সেই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য কেনা হল কম্পিউটার টাইম। ছেলেটি প্রথম দেখল কমপিউটার। দেখেই এমন ভালোলাগা। লিখে ফেলল এক প্রোগ্রাম যা দিয়ে কমপিউটারে খেলা যায়। যন্ত্রটার প্রতি ছিল তার দুর্দনীয় আকর্ষণ। এবার বানাল দুষ্টু একটা বাগ, যা দিয়ে বেআইনিভাবে অনেকটা বেশি ইউজার টাইম  পাওয়া যায়। ধরে পড়েও গেল ছেলেটি। আর কী! সেই কমপিউটারে ঢোকা বন্ধ। পরে অবশ্য অন্য বাগ ধরে দিতে সেই সংস্থাই তাকে ডেকে নিয়ে আসে। স্কুলে ছড়াল সুনাম। সমস্ত প্রোগ্রামিংয়ের দায়িত্ব পেল সে। এবার লিখল এমন এক কোড, যাতে তার বসার জায়গার পাশে শুধু মেয়েরাই বসতে পারে।

এরপর স্কুল পেরিয়ে কলেজ। স্যাটে এক হাজার ছশো নম্বরে এক হাজার পাঁচশো নব্বই পেয়ে ভর্তি বিশ্বের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানে এসেও পড়াশোনার সুযোগকে গুলি। বিশ্ববিদ্যালেয়র দুর্দান্ত সব কমপিউটারের সঙ্গেই কাটে বেশিরভাগ সময়। ভর্তির পরের বছর সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে দলছুট। তারপর বিল গেটস। যার সমস্ত জীবন শেখায়, নিজের জীবনের প্রতি অগাধ বিশ্বাস থাকলে মারাত্মক সব ঝঁকি নেওয়া সম্ভব।

ততদিনে মাইক্রো ইনস্ট্টুমেন্টেশন অ্যান্ড টেলিমেট্রি সিস্টেমস অল্টেয়র আট হাজার আটশো নামের এক কমপিউটর বাজারে ছেড়েছে।বিল ও তাঁর বন্ধু বুঝলেন এই সুযোগ। একটা ডাহা মিথ্যে চিঠি লিখলেন তাঁরা সংস্থাকে এই মেশিনের জন্য এক বেসিক প্রোগ্রাম তৈরি করেছেন। কিন্তু সে কমপিউটার তো তখনও চোখেই দেখেননি। পরে অবশ্য তা তৈরি করেন তিনি। এরপরেই চুক্তি। এবং মাইক্রোসফট তৈরি। কিছুদিন পর তাঁর কাছে এল আইবিএম। নতুন পার্সোনাল কমপিউটারের জন্য ইন্টরপ্রেটর চাই। গেটস প্রতিনিধি পাঠালেও চুক্তি হল না। বিকল্প ব্যবস্থা ছিয়াশি ডস তৈরি করলেন। আইবিএমকে ব্যবহার করতে তো দিলেন। কিন্তু স্বত্বের চাবিকাঠিটি রাখলেন নিজের হাতে। গেটস অনুমান করেছিলেন, এই প্ল্যাটফর্মে আরও অনেকে আসবে। অভ্রান্ত ধারণা। ছিয়াশি ডস বিক্রি করেই মাইক্রোসফটের জয়যাত্রা শুরু।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news