ভারতের অজানা ইতিহাস জানাবে ‘স্যাফরণ সোর্ডস’ ও ‘সরস্বতী সিভিলাইজেশন’

< 1 - মিনিট |

১১ বছরের গবেষণার পর এই বই তিনি লিখেছেন। ক্ষুদিরাম বসু, বিবাদীবাগ ছাড়াও অজানা ৫২ জন যোদ্ধাদের কাহিনীতে মোড়া এই বইয়ের প্রথম পর্ব

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

পাঠ্যবই থেকে তথাকথিত ইতিহাস পড়লেও দেশের আদি ইতিহাস আমাদের অনেকেরই অজানা। তাই বর্তমান প্রজন্মের কাছে দেশের বীর যোদ্ধাদের কথা তুলে ধরতে এবং সরস্বতী সভ্যতার ইতিহাস তুলে ধরতে প্রকাশিত হল দুটি বই। শুক্রবার কলকাতার কলা মন্দিরের কলাকুঞ্জে প্রকাশিত হল মানসী সিনহা রাওয়ালের লেখা ‘স্যাফরণ সোর্ডস’ এবং মেজর জেনারেল জিডি বক্সীর লেখা ‘সরস্বতী সিভিলাইজেশন’।

ভারতীয় ইতিহাস সংকলন সমিতির তরফ থেকে প্রকাশিত এই দুটি বইতেই ঠাসা রয়েছে ইতিহাসের অজানা তথ্য। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়, সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের অধ্যাপক তথা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের দক্ষিণবঙ্গের প্রান্ত কার্যবাহ জিষ্ণু বসু, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড: স্মৃতিকুমার সরকার। মেঘালয় রাজ্যপাল তথাগত রায় এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয় দেশভাগের ইতিহাসের কিছু চাঞ্চল্যকর অজানা তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “কংগ্রেস প্রথমদিকে দেশ ভাগের বিরোধী ছিল। কিন্তু সে সময় বেশিরভাগ বড় মাপের নেতাই জেলে ভেতরে ছিল। সে কারণে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে জেলের বাইরে যারা ছিল তারা সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করেন। ‘স্যাফরণ সোর্ডস’-র লেখিকা মানসী সিনহা রাওয়াল জানান, অজানা অনেক বীর যোদ্ধাদের নিয়ে এই বই। ১১ বছরের গবেষণার পর এই বই তিনি লিখেছেন। ক্ষুদিরাম বসু, বিবাদী বাগ ছাড়াও অজানা ৫২ জন যোদ্ধাদের কাহিনীতে মোড়া তাঁর এই বই। এটা অবশ্য প্রথম পর্ব।

ধীরে ধীরে এই বইয়ের আরও পর্ব বেরোবে বলেও এদিন জানান তিনি।  অন্যদিকে, ‘সরস্বতী সিভিলাইজেশন’- তৈরি হয়েছে সরস্বতী সভ্যতা নিয়ে যে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে তার সমালোচনা নিয়ে। সরস্বতী যে আদৌ নদী ছিল না বা তা নিয়ে যে ভ্রান্ত ধারণা ইংরেজরা তৈরি করে দিয়েছিল ভারতীয়দের মনে, সেই ধারণা যে ভুল সেই নিয়েই এই বই। পাশাপাশি সরস্বতী নদীর ইতিহাস,সে যুগের সংস্কৃতি এই সবকিছুর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যারই সাক্ষী এই বই। 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news