কেন্দ্র একটি কেন্দ্রীয় গ্রাহক সুরক্ষা আইন নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে | এই প্রক্রিয়াটি শুরু হতে কমপক্ষে আরও ছয় মাস লাগবে
প্লাস্টিকের ব্যাগ সরবরাহের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে যে অর্থ আদায় করা হয় তার জন্য কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে রাজ্যের গ্রাহক ও উপভোক্তা বিষয়ক দফতর | উপভোক্তা আইন অনুযায়ী, সংস্থাগুলি গ্রাহকদের কাছ থেকে প্লাস্টিকের বা অন্য কোনও ব্যাগের জন্য চার্জ নিতে পারে, তবে ব্যাগের উপর তাদের কোম্পানির লোগো থাকলে সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেবে সংস্লিষ্ট দফতর |
এই দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “আমরা গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করেছি যে শহরের কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় জামাকাপড়, জুতোর দোকান গ্রাহকদের কাছ থেকে নিজস্ব বিজ্ঞাপনের ব্যাগ বহনের জন্য অর্থ আদায় করছে। যা উপভোক্তা আইন বিরুদ্ধ।” তিনি আরও জানান, গ্রাহক আইন অনুযায়ী, একটি সংস্থা নিজস্ব বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য কারও কাছ থেকে কোনও চার্জ নিতে পারে না।
শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট বিভাগ এই ধরনের সংস্থাগুলির সাথে বৈঠক করবে এবং সেখানে তাঁদের কোম্পানির লোগো সহ ব্যাগ বিক্রি বন্ধ করার সাফ নির্দেশ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি|
নির্দেশ দেওয়ার পরেও যদি সংস্থাগুলি সেই নির্দেশ পালন না করে তাহলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারী দেন এই কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, চণ্ডীগড়ে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে একজন ব্যক্তিকে জুতোর বাক্স বহন করার জন্য একটি কাগজের ব্যাগ তিন টাকা দিয়ে কিনেছিলেন | এর পরে সেই ব্যক্তি একটি কাগজের ব্যাগের চার্জ দেওয়ার জন্য ওই শীর্ষস্থানীয় জুতো প্রস্তুতকারকের বিরুদ্ধে চণ্ডীগড় কনজিউমার কমিশনে অভিযোগ করেছিলেন | তাঁর অভিযোগ ছিল, একটি ব্যাগের জন্য চার্জ করা ন্যায়সঙ্গত তবে সংস্থাটি তার নিজস্ব ব্র্যান্ড-র প্রমোশন করছে ওই ব্যাগের মধ্যে সংস্থার লোগো দিয়ে| এবং তার বিরুদ্ধে চার্জ নিচ্ছে | যা গ্রহণযোগ্য নয়। শেষ পর্যন্ত অভিযোগকারী ব্যক্তি জিতে গিয়েছিলেন | আদালত তার পক্ষে রায় দিয়েছিল এবং ক্ষতিপূরণ হিসাবে জুতো সংস্থাকে নয় হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
উপভোক্তা আইনে এই ধরনের চার্জ ধার্য করার জন্য কোনও মানসম্মত শাস্তির উল্লেখ নেই| সারাদেশের ভোক্তা আদালত বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে রায় দিয়েছে। সেই অনুযায়ী আরোপিত জরিমানাও আলাদা ছিল|
রাজ্য গ্রাহক ফোরামের এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক জানান, “কেন্দ্র একটি কেন্দ্রীয় গ্রাহক সুরক্ষা আইন নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে| এই আইনের আওতায় কিছু নির্দিষ্ট শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়টিও থাকবে। এই প্রক্রিয়াটি শুরু হতে কমপক্ষে আরও ছয় মাস লাগবে|”