সব বিবেচনা করে স্থির করা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের প্রাথমিক ভাবে ৫০,০০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে
বউবাজারে সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ের জের, পুজোর আগে চালু হচ্ছে না ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো। বউবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকদের প্রাথমিকভাবে আর্থিক সাহায্য় করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এবার, ওই অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের জন্য সাহায্য ঘোষণা করলেন কলকাতা মেট্রো রেল কর্পরেশন বা কেএমআরসিএল আধিকারিকরা।
মেট্রো ও ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের মধ্যে আগেই আলোচনা হয়েছিল। গড়া হয়েছিল কমিটি। সেই কমিটির সদস্যরাই শুনেছেন সব হারানো দোকানদারদের অভাব, অভিযোগের কথা । সব বিবেচনা করে স্থির করা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের প্রাথমিক ভাবে ৫০,০০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে ।
অ্যাড-হক পদ্ধতিতেই এই আর্থিক সাহায্য় প্রদান করা হবে বলে জানাচ্ছেন কেএমআরসিএল আধিকারিকরা । সংস্থার এক আধিকারিকের কথায়, ‘এটাই শেষ নয় । কেএমআরসিএল ও ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের নিয়ে একটি কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে । তারাই সব বিবেচনা করে এই মূল্য ধার্য করেছেন’। এরআগে বেশ কিছু ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অন্যত্র অস্থায়ী দোকান দেওয়ার কথাও জানানো হয় ।
গত ৩১শে আগস্ট রাতে বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেন, স্যাকরা পাড়া লেনের বহু বাড়িতে ফাটল লক্ষ্য করা যায় । ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজে টানেল বোরিং মেশিনের চাপ সহ্য করতে না পারার কারণেই ওই এলাকায় ধস নামে । তাতেই বাড়িগুলোতে ফাটল ধরে । বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে যায়।
সরিয়ে দেওয়া হয় ওই সব বাড়ির বাসিন্দাদের । মেট্রোর তত্ত্বাবধানে তাদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয় । বন্ধ করে দেওয়া হয় এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে থাকা দোকানগুলো । ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকদের এককালীন পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় কেএমআরসিএলের তরফে । এদিকে, ব্যবসা বন্ধ । উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি প্রয়োজনীয় সামগ্রী । মাথায় হাত পড়ে বেশিরভাগ স্বর্ণ ব্যবসায়ীর । দিন কয়েক আগেই মেট্রোর উদাসীনতার অভিযোগ তুলে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন । তারপরই কেএমআরসিএলের ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলেন ।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবি, ক্ষতির তুলনায় এই অর্থ নেহাতই নগন্য । যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের বন্ধ করে দেওয়া দোকানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হোক । আর্জি ক্ষতিগ্রস্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ।