পিজি হাসপাতালে আসছে প্রায় ৩০ কোটি টাকার রোবোট
পিজি হাসপাতালে আসছে প্রায় ৩০ কোটি টাকার রোবোট। পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালে তো বটেই, গোটা পূর্ব ভারতের স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও রোবোটিক সার্জারির দিকে এগনোর জন্য এটাই প্রথম ধাপ বলে স্বাস্থ্য দফতর ও পিজি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
পিজি হাসপাতালে পরীক্ষামূলকভাবে ইতিমধ্যে রোবোট আনা হয়েছে। রোবোটিক সার্জারিতে কী কী লাভ, শুরু হয়েছে তার প্রশিক্ষণ। সূত্রের খবর, হাসপাতালে জলাশয়ের ধারের প্রস্তাবিত আউটডোর বাড়ির আট ও নয় তলায় হতে পারে রোবোটিক সার্জারির অপারেশন থিয়েটার। সম্ভবত রোবোটটিও থাকবে সেখানে। চিকিৎসক এবং ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন কর্মকর্তা শিবদত্ত চৌধুরী ‘হিন্দুস্থান সমাচার’-কে বলেন, “সব ক্ষেত্রেই আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। মুম্বাই-দিল্লিতে আগেই চিকিৎসায় রোবট প্রয়োগ আগেই হয়েছে। এই ব্যবস্থা ব্যয়সাপেক্ষ হলেও অনেক সুফল আছে। এতে অস্ত্রোপচারে রক্তপাত কম হয়। ফলে রোগীর ব্যথা লাগে অপেক্ষাকৃত কম, উপশম হয় দ্রুত। তবে, রোবটের উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণ এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও কর্মীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণটা খুব জরুরি। সে সব না করা গেলে এত বিপুল খরচ করে রোবটিকে সাফল্য পাওয়া যাবে না।’’
হাসপাতাল সূত্রের খবর, কম সময়ে, নিখুঁত অপারেশনের জন্য রোবোটিক সার্জারি গোটা দেশে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। এইমস দিল্লি, এইমস ঋষিকেশ, এসজিপিজিআই লখনউ, মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল সহ শীর্ষ স্বাস্থ্যক্ষেত্রগুলিতে ইতিমধ্যে চতুর্থ প্রজম্মের রোবোট এসে গিয়েছে। কেন এত জনপ্রিয় হচ্ছে এ ধরনের সার্জারি? চিকিৎসকরা জানান, শরীরের অভ্যন্তরে যেখানে সার্জেনের হাত সহজে পৌঁছয় না, আর পৌঁছলেও ত্রুটি-বিচ্যুতি এড়িয়ে অপারেশন করা কঠিন হয়ে পড়ে, সেখানে সহজেই পৌঁছে যায় রোবোটের হাত। সার্জেনের হাতের স্বাভাবিক মুভমেন্ট বা চলনের তুলনায় রোবোটের হাতের মুভমেন্টের রকমফেরও অনেক বেশি। প্রায় সাত ধরনের মুভমেন্ট করতে পারে ওই যান্ত্রিক হাত। এক্ষেত্রে একটি কনসোল বা খোপের মতো অংশে বসে রোবোটকে নিয়ন্ত্রণ করেন সার্জেন। রোবোটটি অপারেশন করতে থাকে। সার্জেন যেভাবে পরিচালনা করবেন, অপারেশনও সেভাবে চলবে। পুরো বিষয়টি বাস্তবায়িত করতে হাসপাতাল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ শল্যবিদ, স্ত্রীরোগ ও মূত্রাশয়ের অভিজ্ঞ অধ্যাপকদের নিয়ে একটি টিম তৈরি করে।