জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এশিয়াকে কয়লার প্রতি ‘আসক্তি’ ছাড়তে হবে বলে সতর্ক করেছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এশিয়াকে কয়লার প্রতি ‘আসক্তি’ ছাড়তে হবে বলে সতর্ক করেছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধ করার প্রচেষ্টায় এশিয়ার দেশগুলোকে ‘সামনের সারিতে’ থাকা উচিত বলেও জানান রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব | শনিবার ব্যাংককে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় গুতেরেস জলবায়ু পরিবর্তনকে ‘আমাদের সময়ের জন্য নির্ধারিত সমস্যা’ হিসেবে বর্ণনা করেন। এ সময় মঙ্গলবার প্রকাশিত এক গবেষণা ফলাফলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কার্বনের ওপর মূল্য আরোপ করা দরকার আমাদের। জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ করতে হবে। ভবিষ্যতে নতুন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরিও বন্ধ করতে হবে আমাদের ।” এশিয়ায় এই ইস্যুটি ‘বিশেষভাবে সংবেদনশীল’ হওয়া সত্ত্বেও ‘প্রভাব ফেলার মতো সংখ্যার’ নতুন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, আমেরিকার অলাভজনক সংবাদ সংগঠন ‘ক্লাইমেট সেন্ট্রাল’ মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ১৯ কোটি লোক বসবাস করবে এমন এলাকাগুলো ২১০০ সালে পূর্ণ জোয়ার রেখার নিচে চলে যেতে পারে। গবেষেণায় দেখা গেছে, গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাস মাঝারি ধরনের হলেও চিন, বাংলাদেশ, ভারত, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড ২০৫০ সাল থেকে বার্ষিক উপকূলীয় বন্যার ঝুঁকিতে পড়বে। এতে এশিয়ার এই ছয়টি দেশের মোট ২৩ কোটি ৭০ লাখ লোক বিপদে পড়বে। এদের মধ্যে চিনের নয় কোটি ৩০ লাখ লোক, বাংলাদেশের চার কোটি ২০ লাখ, ভারতের তিন কোটি ৬০ লাখ, ভিয়েতনামের তিন কোটি ১০ লাখ, ইন্দোনেশিয়ার দুই কোটি ৩০ লাখ এবং থাইল্যান্ডের এক কোটি ২০ লাখ লোক বার্ষিক উপকূলীয় বন্যা ঝুঁকির মুখোমুখি হবে।