২০২১ সালের মধ্যে এই ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত হবেন ৩.১ মিলিয়ন মানুষ
দ্রুততার সঙ্গে অগ্রগতি হচ্ছে প্রাইভেট সুরক্ষা ব্যবস্থার। অনুমান করা হচ্ছে, ২০২১ সালের মধ্যে এই ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত হবেন ৩.১ মিলিয়ন মানুষ। ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি ম্যানেজমেন্ট (আইআইএসএসএম)-এর ২৯ তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে শুক্রবার এমনই মন্তব্য করেছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাইভেট সুরক্ষা সংস্থার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ আইপিএস-এডিজিপি মণীশ শঙ্কর শর্মা। কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর কোনরাড হোটেলে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি ম্যানেজমেন্ট (আইআইএসএসএম)-এর ২৯ তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন।
আইআইএসএসএম-এর ২৯ তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার ‘ডিজিটাল যুগে লোকসান প্রতিরোধের নতুন দৃষ্টান্ত’ ছাড়াও ‘পরিবর্তনকারী প্রযুক্তি ও সুরক্ষা উদ্যোগ’ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন মণীশ শঙ্কর শর্মা। মধ্যপ্রদেশ ক্যাডারের কর্মরত আইপিএস অফিসার মণীশ শঙ্কর শর্মা বলেছেন, প্রাইভেট সুরক্ষা ক্ষেত্রে ৮.৯ লক্ষ মানুষ কাজ করছেন। ভারতের প্রাইভেট সুরক্ষা উদ্যোগে অনুমান হল, ২০১৬ সালের সময়কালে ৫৭,০০০ কোটি টাকার টার্নওভার হয়েছিল। কিন্তু ফিক্কির অনুমান, রাজস্ব আয় বেড়েছে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা। সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে শ্রমশক্তির বিশাল পার্থক্যের কথা উল্লেখ করে মণীশ শঙ্কর শর্মা বলেছেন, প্রাইভেট সুরক্ষা সরকারি ক্ষেত্রের তুলনায় চারগুণ বেশি এবং ২২,০০০ প্রাইভেট সুরক্ষা সংস্থাগুলি দেশের প্রায় ৯ লক্ষ মানুষকে কর্মসংস্থান প্রদান করেছে। প্রাইভেট ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। উনি জোর দিয়ে আরও বলেছেন, বিনোদন ইভেন্টগুলিতে সুরক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে স্থানীয় পুলিশকে জড়িত করার কোনও দরকার নেই। এরফলে আইনব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত মূল্যবান শ্রমশক্তির অপচয় হবে। মণীশ শঙ্কর শর্মার কথায়, সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রথমে ‘মহম্মদ বিন জায়েদ ইউনিভার্সিটি অফ আর্টিফিশিয়ল ইন্টেলিজেন্স’-এর স্থাপনা করে বিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। দুর্দান্ত কর্মসংস্থান ছাড়াও, আত্মনিরীক্ষণের জন্য প্রাইভেট সুরক্ষা ক্ষেত্রের জন্য এখন ভালো সময়। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে একজন প্রহরী হিসেবে নতুন নিয়োগের নিয়মিত প্রশিক্ষণ এবং অভিমুখীকরণের সঙ্গে যথাযথ দক্ষতার সঙ্গে আপগ্রেড করা দরকার।