করিমগঞ্জের সোনাখিরায় স্বামী বিবেকানন্দ কলেজের পঠনপাঠন লাটে, প্র‌তিবা‌দে ধরনা ছাত্রছাত্রীদের

< 1 - মিনিট |

নিয়মিতভা‌বে ক্লাস না চলার প্রতিবাদে ধরনা কর্মসূচি

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

পাথারকা‌ন্দির সোনাখিরায় অবস্থিত স্বামী বি‌বেকানন্দ ক‌লে‌জে অনিয়‌মিত পাঠদা‌নের জন্য ক‌লেজ কর্তৃপক্ষেদর বিরুদ্ধে ধরনা কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রছাত্রীরা। 

পূর্ব নর্ধারিত সূচি অনুয়ায়ী সোমবার ছাত্র সংসদের উদ্যোগে নিয়মিতভা‌বে প্র‌তি‌দিন ক্লাস না চলার প্রতিবাদে ধরনা কর্মসূচি পালন ক‌রেছে কলেজর অর্ধশতাধিক ছাত্রছাত্রী। প্রতিবাদী কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীদের অভি‌যোগ, সোনাখিরার এই কলেজে দূরদুরান্ত থে‌কে তাঁরা নিয়‌মিত উপ‌স্থিত হন। অথচ নিয়মিত ক্লাশ না হওয়ায় বেজায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়ে তাঁদের। প্রায় প্রতিদিনই তা‌দের‌ অর্ধেক ক্লাশ ক‌রে বা‌ড়ি ফিরতে হয়।

ধরনাকারীরা বলেছেন, অনিয়মিত পঠনপাঠনের জন্য পরীক্ষার রেজাল্টও খারাপ হয় তাঁদের। এর জন্য দায়ী কারা? এরই প্রতিবাদে এবং নিয়মিত পঠনপাঠনের দাবিতে আজ তারা হা‌তে হাতে প্ল্যা-কার্ড নি‌য়ে ক‌লেজ চত্বরে ব‌সে প্রায় দুঘণ্টা ধরনা কর্মসূচি পালন ক‌রেছেন।

কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দেবনাথ ব‌লেন, আসন্ন পরীক্ষা পর্যন্ত সবকটি ক্লাশ নিয়‌মিত চালিয়ে না গে‌লে পরব‌র্তী‌তে তাঁরা গণতা‌ন্ত্রিক উপা‌য়ে বৃহত্তর ছাত্র আন্দোল‌নের প‌থে পা বাড়া‌তে বাধ্য হবেন। তি‌নি আরও জানান, বিষয়‌টি নি‌য়ে ইতিপূ‌র্বে দু-তিনবার অধ্যক্ষের কাছে স্মারকপত্রও প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। তাই তারা বাধ্য হ‌য়ে আজ ধরনায় ব‌সে‌ছেন। এটা ক‌লেজ কর্তৃপক্ষ ও ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই বেদনাদায়ক। 

এদিকে টানা দু ঘণ্টা ধরনার পর অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে কলেজের বড়বাবু উত্তম রিকিয়াসনের হা‌তে তারা একটি স্মারকপত্রও তুলে দিয়েছেন। স্মারকপত্রে তাঁরা সমস্যা সমাধানের জন্য তিন দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত ১৯৮৭ সালে করিমগঞ্জ কলেজের তদানীন্তন অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ড. সুখেন্দুশেখর দত্তদের উদ্যোগে সোনাখিরায় স্বামী বিবেকানন্দ কলেজের গোড়াপত্তন হয়েছিল। প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন সুক্তি দত্ত। তখন কলেজে হায়ার সেকেন্ডারি এবং স্নাতকস্তরের পাঠদালন হত। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে সুক্তি দত্তের আমলেই কলেজটি প্রভিনশিয়েলাইজড হয়। ২৫ বছরের অক্নান্ত পরিশ্রমে কলেজ প্রতিষ্ঠিত করে অবসর নেন সুক্তি দত্ত। কিন্তু ২৫ বছরে প্রতিদানে কোনও সুবিধা পাননি প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ দত্ত।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news