হোজাই থেকে মণীষা (ছদ্মনাম)-কে অপহরণ করেছিল কতিপয় দুষ্কৃতী
হোজাই থানার অন্তর্গত যোগিজান উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্ৰথমবৰ্ষের নাবালিকা হিন্দু ছাত্ৰীকে মায়ঙের বড়কুড়নি গ্রাম থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ১৩ নভেম্বর হোজাই থেকে মণীষা (ছদ্মনাম)-কে অপহরণ করেছিল কতিপয় দুষ্কৃতী। মণীষাকে উদ্ধার করতে কোমর কষে মাঠে নামে হোজাই পুলিশ। অবশেষে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার মধ্যরাতে মায়ং থানা এলাকার বড়কুড়নি গ্রামে হানা দিয়ে নাবালিকাকে উদ্ধার করে অপহরণের মূল নায়ক হোজাই গোপালনগরের কুলিবস্তির জনৈক ফইজুল হক ওরফে রঞ্জিত দাস (১৮) (রঞ্জিত নাম ধারণ করে সে মণীষাকে ফাঁদে ফেলেছিল), তার ভাই তাজমুল হক (২৩), বাবা মোস্তাফা উদ্দিন (৫৩), মাম মনোয়ারা বেগম (৪৫), ইনতাজ আলি (৬৬), মফিজ উদ্দিন (২৮) এবং জাগিরোড থানা এলাকার জরগাঁওয়ের হুসেন আলি (৫৫)-কে গ্ৰেফতার করে হোজাই থানায় নিয়ে আসে।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে হোজাইয়ের পুলিশ সুপার অঙ্কুর জৈন জানান, গত ১৩ তারিখ রঞ্জিত দাস ছদ্মনামধারী ফইজুল হক নাবালিকা ছাত্ৰীকে প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে অপহরণ করে মায়ং থানাধীন বড়কুরনি গ্রামে নিয়ে যায়। মেয়েটিকে অপহরণ করতে ফইজুলকে সহায়তা করেছিল তার বাবা মোস্তাফা উদ্দিন, মা মনোয়ারা বেগম এবং ভাই তাজমুল হক। অপহরণকারী ফইজুল হককে থাকার সুবিধা এবং নিরাপত্তা দিয়েছিল মায়ঙের বড়কুড়নি গ্রামের ইনতাজ আলি এবং মফিজ উদ্দিন। ছাত্ৰী মণীষার একটি ভিডিও তৈরি করে সোশাল মিডিয়ায় আপলোড করতে সহায়তা করেছিল জাগিরোডের জরগাঁও এলাকার হুসেন আলি।
পুলিশ সুপার জানান, হোজাই পুলিশের এক দল গত দুদিন ধরে অক্লান্ত চেষ্টা করে মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে সুস্থ শরীরে ছাত্ৰী মণীষাকে মায়ঙের বড়কুড়নি গ্রাম থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। নাবালিকা অপহরণ সংক্রান্ত ৮৯০/১৯ নম্বরে মামলা রুজু করে সাতজনকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে। আগামীকাল তাদের শংকরদেব নগর আদালতে পেশ করা হবে বলে পুলিশ সুপার জৈন জানান। এদিকে ছাত্ৰীটির মেডিক্যাল পরীক্ষার করানো হয়েছে। আগামীকাল তাকেও আদালতে পেশ করে তার অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, নাবালিকা অপহরণকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে গোপালনগরের নুর উদ্দিন, মুজিবুর রহমান, ইয়মাইল আলি-সহ পাঁচজনক কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রীকে ভিন ধর্মী যুবক কর্তৃক অপহরণের ঘটনায় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের শতাধিক কার্যকর্তা সোমবার ব্যাপক প্ৰতিবাদী অবস্থান নিয়েছিল হোজাই থানা চত্বরে। ছাত্ৰীকে উদ্ধারের জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল মঞ্চ। মঞ্চের পদাধিকারীরা বলেছেন, রাজ্যে ক্রমবর্ধমান লাভ জিহাদে লাগাম ধরতে না পারলে তাঁরাই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন।