মানবাধিকার কৰ্মী জনৈক হৰ্ষ মণ্ডলের আবেদনের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ আদালত তাঁদের মুক্তি দিতে নির্দেশ দিয়েছিল।
চলতি বছরের মে মাসে সর্বোচ্চ আদালতের নিৰ্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বঙাইগাঁও ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে ‘বিদেশি’ হিসেবে বন্দি এক মহিলা-সহ সাত ব্যক্তিকে মুক্ত করা হয়েছে। এদিন যাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাঁরা যথাক্ৰমে নিবারণ বৰ্মন (৬০), আরিস উদ্দিন (৬০), জালাল উদ্দিন (৫০), সারি শেখ (৬৬), মানিকজান বিবি (৫৪), আজহার আলি (৫৫) এবং আলি আকবর (৫৫)। গত তিন বছরের বেশি তাঁরা ডিটেনশন ক্যাম্পে কাটিয়েছেন। জানা গেছে, প্ৰত্যেককে এক লক্ষ টাকা করে এবং দুজন স্থানীয় ব্যক্তির জমানতে মুক্ত করা হয়েছে।
সরকারি তথ্য বলছে, অসমের বিভিন্ন ডিটেনশন ক্যাম্পে মোট ১,০৪৩ জন বিদেশিকে আটকে রাখা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১,০২৫ জন বাংলাদেশ এবং ২৫ জন মায়ানমারের নাগরিক। দেশের সৰ্বোচ্চ আদালত চলতি বছরের মে মাসে ডিটেনশন ক্যাম্পে তিন বছর সম্পূৰ্ণ করেছেন এ ধরনের বন্দিদের নিৰ্দিষ্ট শৰ্তের বিনিময়ে মুক্ত করতে নিৰ্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আদালত বলেছিল, যে সকল বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে তাদের স্থানীয় ব্যক্তির জমানত এবং এক লক্ষ টাকা করে আদায় দিতে হবে। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট কৰ্তৃপক্ষকে তাঁদের বায়োমেট্ৰিক সংগ্ৰহ করে সুরক্ষিত ডাটাবেসে রাখার কথা বলেছিল সর্বোচ্চ আদালত। এছাড়া ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে মুক্তি লাভ করলেও তাঁদের সপ্তাহে একবার করে থানায় এসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, মানবাধিকার কৰ্মী জনৈক হৰ্ষ মণ্ডলের আবেদনের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ আদালত তাঁদের মুক্তি দিতে নির্দেশ দিয়েছিল।