আচার্য-র অনুমতি ক্রমে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের সাহায্যে কুম্ভ মেলার আদলে পৌষমেলা করার উদ্যোগ শুরু হয়ে গেল রবিবার
পৌষমেলা নিয়ে আচার্য্যের দ্বারস্থ হবার উদ্যোগ নিল বিশ্বভারতীর কোর্টের প্রতিনিধিরা। শুধু তাই নয় আচার্য-র অনুমতি ক্রমে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের সাহায্যে কুম্ভ মেলার আদলে পৌষমেলা করার উদ্যোগ শুরু হয়ে গেল রবিবার। অবশ্য এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্বভারতী।
পৌষ মেলা পরিচালনা থেকে
সদ্য বিশ্বভারতী সরে আসার কথা ঘোষনা করেছে। কিন্তু রবিবার বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল লাইব্রেরি
হলে বিকেলে কোর্ট মিটিং বসে। মিটিং এ বিশ্বভারতী অ্যানুয়াল বাজেট, বিশ্বভারতীর রিপোর্টের মত
একাধিক এজেন্ডা থাকলেও। এদিন শুরু থেকেই বিশ্বভারতী পৌষ মেলা পরিচালনা থেকে সরে
আসার যে ঘোষণা তা নিয়ে সোচ্চার হয় বিশ্বভারতী কোর্ট এর একসটারন্যাল মেম্বাররা।
আচার্য প্রতিনিধি অচিন্ত্য বিশ্বাস, রাষ্ট্রপতি প্রতিনিধি সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়, উপরাষ্ট্রপতি প্রতিনিধি
স্বপন দাশগুপ্ত সোচ্চার হন। শুরু থেকেই বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষ পৌষমেলা পরিচালনা
থেকে সরে আসার স্বপক্ষে যুক্তি দিতে চাইলেও একযোগে তা খারিজ করেন কোর্টে প্রতিনিধিরা।
তারা বলেন, পৌষমেলা
একটা ঐতিহ্য যা শুধু শান্তিনিকেতনে মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এর ব্যাপ্তি এখন সারা
পৃথিবী জুড়ে।যেহেতু বিশ্বভারতী একটি কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান। তাই তার যেকোনও
সুবিধা অসুবিধা কেন্দ্রীয় সরকারকে জানানো উচিত বলে সাওযাল করেন সকলে। পৌষমেলা নিযে
যে সমস্যা তৈরি হযেছে তা নিয়ে নিজেই প্রধানমন্ত্রী কে দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলে
বৈঠকে জানান স্বপন দাশগুপ্ত। প্রয়োজনে আচার্য অনুমতি ক্রমে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি
মন্ত্রক কে ও জানাবেন বলে বৈঠকে জানান স্বপন বাবু। সে ক্ষেত্রে পৌষমেলার ব্যাপকতার
কথা মাথায় রেখে কুম্ভ মেলা যেভাবে সংস্কৃতি মন্ত্রক পরিচালনা করে সেই পরামর্শ
নেবার কথাও আলোচিত হয। বৈঠক অচিন্ত্য বিশ্বাস পৌষমেলার ও বসন্ত উৎসবের
গরিমা অক্ষুণ্ণ রাখার পক্ষে সাওয়াল করেন। তবে শুধু কোর্ট মেম্বাররাই নয়
বিশ্বভারতীকে ও আচার্য কাছে জানতে বলা হয সমস্ত বিষয় টি।
এই সঙ্গে স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, “দিল্লি
ফেরত গিয়েই আমি বিশ্বভারতীর আচার্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি
লিখব। একইসঙ্গে চিঠির কপি দেব কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রককে। বিশ্বভারতীর হয়ে
কেন্দ্রীয় সরকার যাতে পৌষমেলার দায়িত্ব নেয়, সেই আবেদন রাখব।”
অচিন্ত্য বিশ্বাস বলেন পৌষ
উৎসব বিশ্বভারতীর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। পৌষমেলা এর বাইরে নয। হ্যাঁ এটা ঠিক এটা আর
গ্রামীন মেলা নেই। এর বিশালতার ফলে তার নিমন্ত্রণ করা বিশ্বভারতীর পক্ষে
কঠিন হযে পরছে এটা ঠিক তাই বলে বন্ধ হয়ে যাবে এটা ঠিক নয। তাই কেন্দ্রীয়
প্রতিষ্ঠান হিসাবে আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ আমরা করছি।
বিশ্বভারতীকেও করতে বলেছি। “
তবে পৌষমেলা থেকে সরে আসার কথা ঘোষণার পর যেভাবে এই মেলা নিয়ে আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার। এমনকি খোদ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ফোন করে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এরপর কোর্ট মেম্বার দের সক্রিয়তা প্রমাণ করছে মেলা নিয়ে কেন্দ্র রাজ্য দড়ি টানা-টানি শুরু হল।