গর্ভাবস্থায় রেসিং ট্র্যাকে দৌড়াতে নেমে চমকে দিয়েছিল পুরোবিশ্ব!
আলিশিয় মন্টানোকে বলা হয় ‘প্রেগন্যান্ট ফ্লাইং ফ্লাওয়ার’। গর্ভাবস্থায় রেসিং ট্র্যাকে দৌড়াতে নেমে চমকে দিয়েছিল পুরোবিশ্ব!তাকে জিজ্ঞেস করা হয় কিসের তাড়নায় এ অবস্থায় তিনি ট্র্যাকে নেমেছিলেন, মাথায় ফুল গুঁজে ছয়বারের ইউএস চ্যাম্পিয়ন মন্টানো হেসে জবাব দিয়েছিল, “আমি কখনো চ্যাম্পিয়নশিপ মিস করিনি। এই বছর আমি মা হতে চলেছি। কিন্তু তাই বলে আমি দৌড় থেকে সরে আসতে চায়নি। একজন চাকুরীজীবী নারী যদি গর্ভাবস্থায় অবস্থায় নয়টা পাঁচটা অফিস করতে পারে তবে একজন দৌড়বিদ হিসেবে আমিও আমার পেশা কাজ এবং সন্তান একসাথেই ধারন করতে পারব। পৃথিবীকে জানাতে চেয়েছিলাম, কোন বাঁধা নয়, প্রেগন্যাসি আসলে খুব সুন্দর।”
বর্তমানে তিন সন্তানের মা মন্টানো ২০১৪, ২০১৭ মোট দুইবার প্রেগন্যান্ট অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
তিনিসহ তার সন্তানেরা সবাই সুস্থ। সবচাইতে আশ্চর্যের বিষয়, স্বাভাবিক অবস্থায় দৌড়ানোর চেয়ে প্রেগন্যান্ট অবস্থায় দৌড়ে ফাইনাল লাইন ছুঁতে মন্টানোর মাত্র চল্লিশ সেকেন্ড বেশী সময় লেগেছিল!
অথচ আমাদের সমাজে একজন গর্ভাবতী মাকে ‘নজর’ লাগার ভয়ে ঘরে আটকে প্রায় একঘরে করে দেয়া হয়। মধ্যদুপুর, চন্দ্রগ্রহন, সুর্যগ্রহন, সন্ধ্যা, আমাবস্যায় বাইরে বেরোনোয় জারি হয় নিষেধ। জোড়াকলা খেতে দেয়া হয় না, এমনকি নারীর চেহারা দেখেই বলে দেয়া হয় ছেলে নাকি মেয়ে হবে। ( মায়ের চেহারা খারাপ হয়ে গেলে ছেলে, সুন্দর হলে মেয়ে) আর চাকুরীজীবী হলে তো কথাই নেই, কর্মস্থলের আশেপাশে ফুটে উঠে ‘আপাতত অকেজো’ মনোভাবের দৃষ্টি!
ক্ষেত্রবিশেষে প্রেগন্যান্সির পর চাকুরী ফিরে পাওয়াই ‘চ্যালেঞ্জ’ হয়ে যায়!
Advertisements | 5E For Success