বিশ্বকর্মা পূজায় পুস্তক উন্মোচনে এত ভিড়! বিস্মিত রবীন্দ্রভারতীর অধ্যাপক মুনমুন গঙ্গোপাধ্যায়

2 - মিনিট |

নতুন দিগন্ত প্রকাশনীর ব্যবস্থাপনায় দু’টি কাব্যগ্রন্থ ও একটি সাময়িকীর মোড়ক উন্মোচন

চয়ন ভট্টাচার্য

বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে শিলচরের ‘নতুন দিগন্ত প্রকাশনী’ প্রতি বছরের মত এবারও এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রকাশনীর নিজস্ব কার্যালয়ে।গান, পুস্তক উন্মোচন, স্বরচিত কবিতা পাঠ ও বক্তব্যে জমজমাট এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এতদঞ্চলের কবি-লেখকরা। সংগীতশিল্পী বিশ্বরূপা পুরকায়স্থের ‘জগতের আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ’ গানখানি দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয় ।

এরপরই ছিল গ্রন্থ উন্মোচন পর্ব । কাব্যগ্রন্থ ‘কাব্যগন্ধী অস্তিত্ব’ কবি : মিতা দাস পুরকায়স্থ । প্রকাশক ‘নতুন দিগন্ত প্রকাশনী’। কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতার ঝর্নাধারা’ কবি- যৌথভাবে কস্তুরী হোম চৌধুরী ও শ্রাবণী সরকার এবং ‘আম্রপালি’ সাময়িকী ,সম্পাদক- কস্তুরী হোম চৌধুরী । এই সাময়িকী ও কাব্যগ্রন্থ দু’টির মোড়ক উন্মোচিত হয় রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনমুন গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে ।

বিজ্ঞাপন

তার সঙ্গে ছিলেন লেখক ঔপন্যাসিক ইমাদ উদ্দিন বুলবুল,কবি কস্তুরী হোম চৌধুরী ,আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বরুণ জ্যোতি চৌধুরী ও কবি মিতা দাস পুরকায়স্থ। উন্মোচক মুনমুন গঙ্গোপাধ্যায় বিশ্বকর্মা পূজোকে কেন্দ্র করে এভাবেও যে পুস্তকের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান এত কবি-সাহিত্যিকের উপস্থিতিতে করা যায় এতে বিস্ময় প্রকাশ করেন ।

তিনি আশা প্রকাশ করেন এভাবেই নতুন নতুন পুস্তক প্রকাশ ও একে কেন্দ্র করে তরুণ প্রজন্মের যোগদান এভাবেই বাংলা কবিতা বেঁচে থাকবে। তিনি মিতা দাস পুরকায়স্থের কবিতার লাইন ‘আগুনের রং এখনো নীল’ উল্লেখ করে বলেন ,তাই চিন্তা কীসের ,আগুন তো নীল-ই আছে। তিনি মিতার একটি কবিতা পাঠ করেন।

পরে কস্তুরী হোম চৌধুরীর একটি কবিতাও পাঠ করে শোনান। সঞ্চালক মিতা দাস পুরকায়স্থ এরপর উপস্থিত কবি ও সঙ্গীতশিল্পীদের অনুষ্ঠানে বৈচিত্র্য রেখে ডেকে নেন। সংগীত পরিবেশনে দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন এতদঞ্চলের বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী শর্মিষ্ঠা দাস চাকী, সমর দেব, তনিকা চক্রবর্তী ও শ্রাবণী সরকার। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন দীপ্তি চক্রবর্তী, সুশান্ত ভট্টাচার্য, শেলী দাস চৌধুরী, আদিমা মজুমদার ,স্মৃতি দাস ,জয়ন্তী দত্ত ,দেবতোষ নাথ প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন ইমাদ উদ্দিন বুলবুল ,ড. বরুণজ্যোতি চৌধুরী ,কস্তুরী হোম চৌধুরী, সৌমেন হোম চৌধুরী প্রমুখ । উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিবিদ ও এপিডিসিএল-এর ডিরেক্টর নিত্য ভূষণ দে,স্বাগতা চক্রবর্তী,শিল্পী চক্রবর্তী।সাংবাদিক চয়ন ভট্টাচার্য তার বক্তব্যে আসামে বাংলার উপর সাম্প্রতিক আগ্রাসনের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বাংলা যদি না-ই বা থাকে আগামীতে, তাহলে এসব বই প্রকাশের প্রয়োজন কি? কবি-লেখকদের প্রতিবাদী হওয়ার উপর তিনি জোর দেন । ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন গবেষক দেবস্মিতা পুরকায়স্থ।

KRC TIMES ADVERTISEMENT

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *