ভোট দেবেন ৭৫৩ জন সদস্য, প্রার্থী ১৬
আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হতে চলতে শিলচর বার সংস্থার নির্বাচন।মর্যাদাপূর্ণ শিলচর বার সংস্থার নির্বাচনে এবার সভাপতি ও সম্পাদক কে হবেন এ নিয়ে চলছে জোর চর্চা। কারণ এই সংস্থা সভাপতি বা সচিব হওয়াটা একটা মর্যাদার বিষয়।।এবার সব থেকে জবরদস্ত লড়াই হচ্ছে সভাপতি পদে।
প্রেস্টিজিয়াস এই পদের জন্য এবার লড়াইয়ে আছেন বর্তমান সভাপতি নীলাদ্রি রায় ও বিশিষ্ট আইনজীবী প্রাক্তন সচিব শান্তনু নায়েক। দুজনেই জাদরেল প্রার্থী। তাই সভাপতি নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা চরমে ডিস্ট্রিক্ট বার এসোসিয়েশনে।
বার লাইব্রেরির নির্বাচনী রাজনীতিতে দুজনেই দক্ষ। সচিব যুগ্ম সম্পাদক মিলিয়ে শান্তনু নায়েক পাঁচবার বিজয়ী হয়েছে ন। নীলাদ্রি রায় তিনবার সচিব পদে বিজয়ী হয়েছেন। আইনজীবীদের মধ্যে দুজনেরই প্রভাব প্রশ্নাতীত।
দুজনের মধ্যে যা ফারাক সেটা হল তাদের রাজনৈতিক ঘরানার। নীলাদ্রি রায় কিছুটা বাম ঘেঁষা। আর শান্তনু নায়ক পুরোদস্তুর হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে বার সংস্থার নির্বাচনে এসব খুব একটা প্রভাব ফেলে না। বরং ব্যক্তিগত সম্পর্ক বেশি কার্যকর হয়।
তাই দুজনেরই দাবি তারা জিতবেন।
সহ সভাপতির পদে লড়াইয়ে আছেন সুমিতা সোম পুরকায়স্থ, টিংকু বৈদ্য ও সুভাশিস চক্রবর্তী। গুরুত্বপূর্ণ সচিব পদে প্রার্থী আছেন তিনজন। আব্দুল হাই লস্কর ,রত্নাংকুর ভট্টাচার্য, সত্যজিৎ দে ও তুহিনা শর্মা।
আব্দুল হাই লস্কর বর্তমানে সচিব পদে আছেন। তিনি নিঃসন্দেহে একজন শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ।যুগ্ম সম্পাদক পদে লড়ছেন অমলাভ দাশ, পংকজ কুমার দে ও জিয়াউল হক লস্কর। সরকারি যুগ্ম সচিব পদে লড়াইয়ে আছে ন অভিজিৎ কর ও ভিক্টর দাস।
৭৫৩ জন ভোট দেবেন এই নির্বাচনে। ভোটার তালিকা ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়ে গেছে।এ নিয়ে শান্তনু নায়ক জানালেন, তিনি জিতলে বার সংস্থার উন্নতির জন্য কাজ করবেন। এর আগেও তিনি বিভিন্ন পদে ছিলেন, সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন বার লাইব্রেরির উন্নয়নের জন্য। তার প্রথম চেষ্টা থাকবে শিলচরে হাইকোর্টের ব্রেঞ্চ স্থাপন।
তিনি জানালেন এই ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ নেবেন । জেতার ব্যাপারে তিনি ১০০ ভাগ নিশ্চিত বলে জানালেন। এনিয়ে নীলাদ্রি রায় বলেন, হাইকোর্টের বেঞ্চ স্থাপন অবশ্যই আমাদের একটা বড় লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে তিনি নিশ্চয়ই কাজ করবেন। জানালেন যে জেতার ব্যাপারে তিনি আশা বাদী।
তবে এটা নিতান্তই আমাদের নিজেদের মধ্যে একটা নির্বাচন। তাই তার একটাই জবাব তিনি জিতবেন। নীলাদ্রি জানালেন, বার লাইব্রেরির উন্নয়নের স্বার্থে তিনি কাজ করে গেছেন। জিতলে এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
সাধারণ সচিব পদে যে চারজন দাঁড়িয়েছেন তারা প্রত্যেকে যথেষ্ট জনপ্রিয়। তাই এখানে লড়াইটা হচ্ছে জমজমাট। সভাপতি ও সচিব এই দুটি পদে উত্তেজনাকর লড়াই অপেক্ষা করছে। শিলচর বার সংস্থার একটা ঐতিহ্য রয়েছে। আর সেই ঐতিহ্যের সূত্র ধরে একটা মর্যাদা রয়েছে। তাই এই সংস্থার সভাপতি সচিব কে হলেন এ নিয়ে গোটা শহরে একটা কৌতূহল থাকে।
গোটা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রার্থী রয়েছেন ১৬ জন। জোরদার প্রচার চলছে। যত নির্বাচনের সময় সামনে আসছে ততই উত্তেজনা চরমে উঠছে। ময়দানে চারজন মহিলা প্রার্থীও আছেন। আর শিলচর বার সংস্থা র নির্বাচন বলে কথা। তাই জিততে সবাই মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন। কারন এই সংস্থার একটা নির্বাচিত পদ জীবনের একটা বড় সম্মান।
বিজ্ঞাপন