বিদেশি ট্রাইব্যুনালের নবনিযুক্ত সদস্যদের মেয়াদ আর বাড়াতে রাজি নয় সরকার

2 - মিনিট |

এনআরসি চায় না সরকার

চয়ন ভট্টাচার্য

এনআরসি নিয়ে রাজ্য সরকার মোটেই উৎসাহী নয়। আর এই এনআরসি রাজ্য সরকার মানতেও চায়না। রাজ্য সরকারের কিছু সিদ্ধান্তে এমনটাই মনে হচ্ছে।সুপ্রিম কোর্টে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে রাজ্য সরকার। সবচেয়ে যে বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ সেটা হল,আর ট্রাইব্যুনালের নব নিযুক্ত সদস্যদের কার্যকাল বাড়াতে সরকার চায় না।

রাজ্য এ নিয়ে কেন্দ্রকে একটা চিঠি দিয়েছ। অর্থাৎ এনআরসি থেকে যারা বাদ পড়েছে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য যে ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল , সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে সরকার।
রাজ্য সরকার ২০০ টি বিদেশী সনাক্তকরণ ট্রাইব্যুনাল চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

এর জন্য বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু হয়। কিন্তু সরকার ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা না বাড়িয়ে এই বিচারপতিদের বর্তমানে যে ট্রাইব্যুনাল আছে সেগুলোর সঙ্গে যুক্ত করে। ২১০ জন বিচারপতি নিযুক্ত করা হয়। এছাড়া আরো ১৬০০ প্রার্থী বাছাই করা হয়। কিন্তু এদের যুক্তি দেওয়া হয়নি। এখন সরকার বলছে ট্রাইব্যুনালের নতুন সদস্যদের যে কার্যকালের মেয়াদ রয়েছে সেটা বাড়ানো হবে না।

অর্থাৎ এর থেকে একটা কথাই স্পষ্ট ,এখন যে এনআরসি রয়েছে সেটা নিয়ে রাজ্য সরকার মোটেই উৎসাহী নয়। এখানে অনেকগুলো প্রশ্ন উঠে আসছে। তাহলে যে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া থেকে বাদ গেছে তাদের এখন কি হবে। আর রাজ্য সরকার মানবো না, বললে কি সেটা সুপ্রিম কোর্ট মেনে নেবে। কিন্তু রাজ্য সরকার পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে এনআরসি নিয়ে তাদের কোন আগ্রহ নেই।

২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। সেই তালিকায় ১৯ লক্ষ লোকের নাম বাদ পড়ে। আজ তিন বছর হয়ে গেল এনআরসি সেই খসড়া তালিকাতেই রয়েছে। রাজ্য সরকার রি ভেরিফিকেশন চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে।

এমনকি বিদায়ী এন আর সি কোর্ডিনেটর হিতেশ দেব শর্মা এনআরসি তে অনেক দুর্নীতি হয়েছে এই অভিযোগ করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন প্রাক্তন কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলার বিরুদ্ধে। যে খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে সেটাতে যতক্ষণ পর্যন্ত আরজিআইর বা রেজিস্টার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার স্বাক্ষর পড়বে না ততক্ষণ পর্যন্ত বৈধ বলে বিবেচিত হবে না।

আর সুপ্রিম কোর্টের রায় না পাওয়া পর্যন্ত আর জি আই এন আর সি তে স্বাক্ষর করবেন না। তাই পুরো বিষয়টি এখন ঝুলে আছে সুপ্রিম কোর্টে। এই সরকার তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। সময়সীমা না বাড়ানোর জন্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা তাৎপর্যপূর্ণ। সরকার নিজের অবস্থান থেকে নিজেই সরে আসছে এর অর্থ হল এই এনআরসি নিয়ে সরকারের বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই।

বিজ্ঞাপন

OVERSEAS POINT (Silchar Branch): H. No.15, Ward No. 01. Malugram, Silchar-2. Assam. Mobile no. 9435073865.

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *