শেষ হলো শিলচর চন্দ্রনাথপুর লংকা বিকল্প রেললাইনের সমীক্ষার কাজ

2 - মিনিট |

২০২৩ সালে গুয়াহাটি শিলচর ইন্টারসিটি

চয়ন ভট্টাচার্য

বিকল্প রেললাইন সত্যিই বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে!অন্তত এখনো পর্যন্ত যা আভাস পাওয়া যাচ্ছে তাতে সেটাই মনে হচ্ছে। শিলচর চন্দ্রনাথপুর লঙ্কা হয়ে প্রস্তাবিত বিকল্প রেললাইনের সমীক্ষার কাজ শেষ করেছে রেল। ৪১ কোটি টাকা ব্যয়ের এই সার্ভের আদেশ দেওয়া হয়েছিল গত জুনে। যে সংস্থাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তারা সঠিক সময়ে তাদের কাজ শেষ করেছে।

রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়ে গেছে। তাহলে ধরে নেওয়া যায়, বিকল্প রেল লাইনের প্রস্তুতিটা শুরু হয়েছে। মূলত পাহাড় অঞ্চলকে বাদ দিয়ে এই সার্ভে করা হয়েছে। বেশিরভাগ টানেল থাকবে। এই সমীক্ষার রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে রেল কর্তৃপক্ষ ঠিক করবে আগামী পরিকল্পনা। এই মুহূর্তে শিলচরের সঙ্গে অবশিষ্ট ভারতের যে রেল যোগাযোগ সেটা খুব একটা সুবিধার নয়।

বিজ্ঞাপন

গত বর্ষায় ডিমা হাসাওয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকে এই লাইন। কোন ট্রেন চলাচল করতে পারেনি। আর তখন থেকে বিকল্প রেললাইনের দাবিটা প্রবল হয়ে ওঠে। পাহাড় লাইন মেরামত করতে গিয়ে রেলের খরচ হয়েছে প্রায় দেড়শ কোটি টাকা। ঠিক এরকম একটা সময়ে রেল কর্তৃপক্ষ বিকল্প রেললাইন হিসেবে শিলচর চন্দ্রনাথপুর লঙ্কা রুটে সমীক্ষা করার জন্য একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেয়। সেই সংস্থা তাদের কাজ শেষ করেছে।

এটা অবশ্যই বরাকবাসীর কাছে একটা সুখবর। তবে শুধু এটাই নয় আরেকটা সুখবর অপেক্ষা করছে। আগামী ২০২৩ সালে শিলচর গুয়াহাটি ইন্টারসিটি চালু হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ইতিমধ্যেই সপ্তাহে তিন দিন গুয়াহাটি আগরতলা ইন্টারসিটি রেল সেবা চালু হয়েছে। শিলচর পর্যন্ত এই সেবা সম্প্রসারণের দাবিটা উঠেছে।

রেলওয়ে ইউজারস এডভাইসারি কমিটির সদস্য অমরেশ রায় জানালেন, শিলচর পর্যন্ত ইন্টারসিটি আগামী ২০২৩ সালে চালু হবে ‌। কমিটির বৈঠকে তিনি বারবার এই দাবি উত্থাপন করেছেন। ইন্টারসিটি চালু হলে শিলচর থেকে গুয়াহাটি যোগাযোগটা আরো উন্নত হবে। তিনসুকিয়া পর্যন্ত যদি ইন্টারসিটি চলতে পারে তাহলে শিলচরের বেলা দোষের কি?

বিজ্ঞাপন

আগরতলা থেকে যে জনশতাব্দী এক্সপ্রেস মনিপুরের খোংসাং পর্যন্ত যাবে তার একটা স্টপেজ যাতে অরুণাচলে দেওয়া হয় এই দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এতে শিলচর থেকে আরো দ্রুত গতিতে আগরতলা পৌঁছানো সম্ভব হবে।


তবে বিকল্প রেললাইনের সার্ভের কাজ শেষ হওয়া নিঃসন্দেহে একটা আনন্দের খবর এই উপত্যকার জন্য। কারন বহু আদেশ সরকারি ভাবে দেওয়া হয় কিন্তু সেগুলো খুব কমই পালন করা হয়।

তাই সমীক্ষার কাজ শেষ হওয়াটা কম কথা নয়।এই মুহূর্তে বিকল্প রেললাইনের খুব প্রয়োজন। পাহাড় লাইনের উপর আর ভরসা করা যাচ্ছে না। যে কোন মুহূর্তে ধস নামতে পারে । অনেক আগে থেকেই চন্দ্রনাথপুর লঙ্কা রেললাইনের দাবিটা উঠছিল। কিন্তু কোন অজ্ঞাত কারণে বর্তমানের পাহাড় লাইনে সার্ভে করা হয় ‌।

সেই সমীক্ষা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছিল। যার ফল আজও ভোগ করতে হচ্ছে বরাকবাসীকে। তবে ভালোয় ভালোয় চন্দনাথপুর লঙ্কা লাইনের সমীক্ষাটা হয়েছে। এটাই বড় কথা। এখন পরবর্তী পদক্ষেপগুলো দ্রুত হবে এটা আশা করা যেতেই পারে ‌।

বিজ্ঞাপন

KRC TIMES ADVERTISEMENT

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *