সরকার একদিকে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীল নীতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে যখন দাবি করছে, ঠিক তখনই সরকারের এই দাবি যে কতটা অসার তা সামনে এসেছে
শিলচর : ঘুংগুর আউটপোস্ট সংলগ্ন এলাকায় মাদকাসক্ত অল্পবয়সী এক কিশোর গণরোষে পড়ার পর বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। পরে ধৃত বছর ষোলোর কিশোরকে আমজনতা জেরা করলে সে বলে ভুল হয়ে গেছে। আর কখনও হবে না’ জানিয়ে জনরোষ থেকে পালিয়ে বাঁচে ঘুংগুর আউটপোস্ট থেকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেন গেট পর্যন্ত এলাকায় মাদকাসক্তদের দাপাদাপি নতুন কোনও ঘটনা নয়। ঘুংগুর পুলিশের রাডারেও রয়েছে এ সব কাজ-কারবারের তথ্য রয়েছে অসামাজিক কার্যকলাপের তথ্য। অথচ ঘুংগুর পুলিশ নীরব।।
এর আগে শিলচর সদর থানা সংলগ্ন এলাকায় একটি ই-রিকশোর ভেতর বসে বেশ কিছু যুবককে ড্রাগস নিতে দেখা গেছে। তাছাড়া শিলচর অফিসপাড়ায়ও দিনদুপুরে খোল্লমখোল্লা ড্রাগস নিতে দেখা গেছে এক ব্যক্তিকে। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায়ও ধরা পড়েছে সে দৃশ্য।
জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনেও ঘটেছে অনুরূপ ঘটনা। প্রকাশ্যে সড়কের পাশে এক রিকশোওয়ালাকে ইনজেকশন ব্যবহার করে ড্রাগস নিতে দেখা গেছে। পুলিশকে জানানো হয়েছে কিন্তু নীরব পুলিশের ভূমিকা। এবার প্রশ্ন হল— ড্রাগসের বিরুদ্ধে যদি সরকার সত্যি সত্যিই শূন্য সহনশীল নীতি নিয়ে থাকে তা হলে কীভাবে জেলার যুব প্রজন্মের কাছে ড্রাগস এসে পৌঁছচ্ছে? সরকারের এ নিয়ে কি আরও ভালভাবে ভাবা উচিত? এখনও হাতে সময় আছে।
একটা প্রজন্মকে বাঁচাতে প্রয়োজনে অপারেশন অলয়াউট শুরু করতে হবে সরকারকে। আরও কড়া আইন আনতে হবে। ড্রাগস কারবারিদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করতে হবে। তবেই এই মারণ নেশার কবল থেকে বাঁচানো যাবে যুব প্রজন্মকে এবার ।