বরাকের দুইটি আসন কমিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠলো
শিলচর : বৃহস্পতিবার দেশের মুখ্য নির্বাচন নির্বাচন রাজীব কুমার ও কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা বরাক উপত্যকার বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক দলের বক্তব্য শুনলেন। হাইলাকান্দির ৪২ ও শিলচরের ১০৪ সংগঠন তাদের অভিযোগ জমা দিয়েছে। গুয়াহাটি শংকরদেব কলা ক্ষেত্রে এই শুনানিতে বরাক থেকে যে দাবিটি সবচাইতে বেশি উঠেছে সেটা হল বরাকের দুটি আসন কমানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান অনেকেই।
এছাড়া হাইলাকান্দি জেলা থেকে কাটলিচড়া আসনটি কমিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদ জানানো হয়। হাইলাকান্দি জেলা বার সংস্থা ,হাইলাকান্দি জেলা কংগ্রেস হাইলাকান্দি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস আই ইউ ডি এফ সহ বিভিন্ন সংগঠন নির্বাচন কমিশনের কাছে কাটলিচড়া আসন তুলে দেওয়ার বিরোধিতা করে বিভিন্ন যুক্তি পেশ করেন। তাদের বক্তব্য যেখানে হাইলাকান্দি জেলার জনসংখ্যা বেড়েছে সেখানে কেন একটি আসন কমিয়ে দেওয়া হবে।
চা জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে লক্ষ্মী নিবাস কালোয়ার বলেন এই ডিলিমিটেশনের আগে বরাকে সাতটি আসনে চা শ্রমিকরা একটি নির্ণায়ক ভূমিকা নিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তাদের আর এই ভূমিকা থাকল না মাত্র দুটি আসনে তাদের প্রভাব থাকছে। তিনিও কাটলি ছড়া আসন বিলুপ্তি করার বিরোধিতা করেন।
বরাক উপত্যকা থেকে দুটি আসন কমিয়ে দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ফোরাম ফর ডেমোক্রেটিক রাইটস ব্র্যাক ভ্যালি, নাগরিক অধিকার রক্ষা সমিতি, বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সমিতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চসহ বিভিন্ন সংগঠন।
সবচাইতে বেশি বেশি প্রতিবাদ উঠে এসেছে লক্ষ্মীপুরের মনিপুরী সমাজের পক্ষ থেকে। মনিপুরী ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের সভাপতি রিনা সিং, কমলাকান্ত সিং,থৈবা সিং সহ বিভিন্ন প্রতিনিধিরা লক্ষীপুর বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন মনিপুরি সহ বিভিন্ন এলাকা সোনাই বিধানসভা কেন্দ্রে জুড়ে দেওয়া তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। একটি জাতি গোষ্ঠী হিসাবে মনিপুরী সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক প্রভাব খর্ব হয়েছে বলে তারা কমিশনের কাছে বক্তব্য তুলে ধরেন।
কমিশনের কাছে যখন এসব বক্তব্য তুলে ধরা হচ্ছিল তখন মাঝেমধ্যেই কিছু কিছু মন্তব্য করছিলেন রাজীব কুমার। একটা সময় তিনি বলেন হয়েছে সেটা দি লিমিটেশন কমিশনের নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন নাকি নতুন কোন নিয়ম চালু করেন এই কোথাও তিনি বলেছেন প্রায় দুইবার। এছাড়াও তিনি বলেন যে এমনভাবে ডি লিমিটেশন হয়েছে সেটাতে কমিশন বিভিন্ন সুবিধা দেখেয এটা করেছে ।
এতে কোন সম্প্রদায় কোন দিকে বেশি পড়ল এটা নাকি নির্বাচন কমিশন দেখেনি। তখন মনিপুরীদের প্রসঙ্গে উঠেছিল তখন তিনি মন্তব্য করেন আমরা যখন আসন বিন্যাস করি তখন সবাইকে ভারতীয় হিসেবে সব দেখি ।কোন সম্প্রদায় হিসেবে নয়। শিলচর জেলা কংগ্রেস মালুগ্রাম নাগরিক সংস্থা ইয়াসির পক্ষ থেকে শিলচর শহরে ৭ টি ওয়ার্ড কে উধারবন্দে অন্তর্ভুক্ত করার তীব্র বিরোধিতা জানানো হয়।
এ নিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চের পক্ষ থেকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে বক্তব্য উপস্থাপন করে বলা হয় শিলচর শহরের গোড়াপত্তন হয়েছিল যে মালুগ্রাম এলাকায় সেই এলাকাকে জুড়ে দেওয়া কোন অবস্থায় যুক্তিযুক্ত নয় এই সিদ্ধান্ত আপনার বিচারের জন্য তারা কমিশনের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।কমিশনের সদস্যরা এদিন ধৈর্যের সঙ্গে প্রত্যেকের মতামত মন দিয়ে শোনেন।