স্থানীয় জনগণদের বিশ্বাস , এই গনেশীর মন্দিরে অতি শীঘ্র ভক্তদের মনস্কামনা পূর্ণ হয়
করিমগঞ্জ : ভারতবর্ষের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আস্থা অর্থাৎ বিশ্বাস। যে কোন ধর্মের প্রধান ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস। সেই বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে ভারতবর্ষের বিভিন্ন তীর্থক্ষেত্র বিভিন্ন ভাবে জনপ্রিয় হয়। তার মধ্যে কিছু কিছু তীর্থক্ষেত্র আছে যেগুলো প্রচারে কম আসায় জনপ্রিয় কম হয়, তা বলে সেইসব তীর্থক্ষেত্র গুলোর গুরুত্ব কোন অংশেই কম নয়।
স্থানীয় ভাবে সেগুলোর জনপ্রিয়তা অনেক বেশী। এইরকমই এমন এক মন্দিরের খোঁজ মিলল করিমগঞ্জের শনবিল কালীবাড়ী থেকে কিছু দূরে অবস্থিত গান্ধীনগর নামক গ্রামে। পাহাড়, জঙ্গল, টিলা দিয়ে ঘেরা এক নাতিউচ্চ টিলায় এই জাগ্রত গনেশ মন্দিরটি অবস্থিত। সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অতি মনোরম। স্থানীয় জনগণদের বিশ্বাস , এই গনেশীর মন্দিরে অতি শীঘ্র ভক্তদের মনস্কামনা পূর্ণ হয় ।
প্রতি বছর সরস্বতী পূজার আগের দিন অর্থাৎ চতুর্থীর দিন গনেশ বাবার পূজা খুব ধুমধাম করে পালন করা হয়। দূর দূরান্ত থেকে প্রচুর ভক্তবৃন্দের ঢল নামে। কিছু কিছু ব্যবসায়ী বিভিন্ন সামগ্রী সাজিয়ে বসে। স্থানীয় লোকের তখন গনেশ মেলা নামকরণ করে আনন্দের জোয়ারে ভাসতে থাকে। কিন্তু গনেশ মন্দিরে যাওয়ার রাস্তার সুবন্দোবস্ত না থাকায় খুব অসুবিধার সন্মুখে পড়তে হয় মন্দিরে আসা দর্শনার্থীদের। এই জাগ্রত গনেশী মন্দিরটিতে একটি প্রকাণ্ড গনেশ শিলা প্রাকৃতিক ভাবে পাহাড়ের নীচ থেকে আবির্ভাব হয় প্রায় ষাট বছর আগে। বহুলোক স্বপ্নাদেশ পেয়েছে গনেশীর ।