শিলচর | চলে গেলেন প্রদীপ দত্তরায়ের জ্যৈষ্ঠ ভ্রাতা মৃনাল দত্তরায়

2 - মিনিট |

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর

কেআরসি টাইমস বারাক ভ্যালি ব্যুরো

শিলচর : গত বুধবার আনুমানিক ১১ টায় না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন হাইকোর্টের আইনজীবী তথা শিলচরের বিশিষ্ট রাজনৈতিক কর্মী প্রদীপ দত্তরায়ের জ্যৈষ্ঠ ভ্রাতা মৃনাল দত্তরায়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের সমস্যার জন্য দু’দিন আগে তাকে গৌহাটির এপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

প্রদীপ বাবুর পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সর্বজ্যেষ্ঠ মৃনাল দত্তরায়ের কর্মজীবন কেটেছে ভারতীয় রেল সেবায় আধিকারিক হিসেবে। এনএফ রেলওয়ের হিসাব রক্ষণ বিভাগে যোগ দিয়ে তিনি কর্মদক্ষতা ও সততার জন্য দেশের রাস্ট্রপতি দ্বারা ইন্ডিয়ান রেলওয়ে সার্ভিসের ক্যাডার হিসেবে মনোনীত হন ।

এন এফ রেলওয়ের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা তথা চিফ একাউন্টস অফিসার হিসেবে মালিগাও অফিসে তিনি দীর্ঘদিন কাজ করেছেন এবং এই পদে থাকা অবস্থায়ই অবসর গ্রহণ করেন। হিসাব রক্ষণ আধিকারিক হিসেবে তাঁর সততা ছিল প্রশ্নাতীত , দীর্ঘ কর্মজীবনে অনায্য কোন অনুগ্রহ প্রদান বা আনুগত্য প্রদর্শন তাঁর স্বভাববিরুদ্ধ ছিল। এই অনমনীয় মনোভাবের জন্য কর্মীমহল তথা সমাজে তাঁর একটি বিশেষ গ্রহনযোগ্যতা ছিল যা শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার মিশেলে আজও সবার মননে দীপ্তমান।

সফল রেল আধিকারিকের পাশাপাশি মৃনাল দত্তরায় বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন। তাঁর মানবদরদী সংবেদনশীল মনের সান্নিধ্য পেয়েছেন অনেকে।বছর কয়েক আগে মৃনাল বাবু শেষবারের মতো শিলচরে এসেছিলেন রূপম সংস্থার প্রস্তাবিত বৃদ্ধাশ্রমের জন্য তাঁদের ‌পারিবারিক তিন বিঘা জমি দান করার উদ্দেশ্যে। সেবার তাঁদের মা বাবার নামাঙ্কিত রূপম প্রতাপপ্রিয় আনন্দ‌‌‌ আশ্রমের জন্য এই জমির দখলস্বত্ব তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে রূপমের কর্ণধার নিখিল পালের হাতে তুলে দেন।

মৃত্যকালে তিনি রেখে গেছেন দুই পুত্র, এক কন্যা,পুত্রবধূ ,জামাতা ও দৌহিত্র দৌহাত্রীদের ।মৃত্যু মানুষের অমোঘ নিয়তি , কিন্তু মানুষ তাঁর কর্মকৃতির মাধ্যমেই সমাজমননে বেঁচে থাকে।প্রয়াত মৃনাল দত্তরায় তাঁর নিষ্ঠা,সততা,সমাজ মনস্কতার জন্য চিরকাল বেঁচে থাকবেন তাঁর আত্মীয় পরিজন, তাঁর গুনগ্রাহীদের স্মৃতিতে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *