সংস্কৃত বিভাগের উদ্যোগে এই দিবস পালন করা হয়
শিলচর : গত বুধবার আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃতবিভাগের উদ্যোগে বিশ্বসংস্কৃতদিবস উৎসব জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে পালিত হয়। বিশ্বসংস্কৃতদিবস প্রতি বছর শ্রাবণী পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয় । আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগে আয়োজিত আজকের এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিরূপে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর রাজীব মোহন পন্ত।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভাষা অনুষদের ডিন. প্রফেসর অজিত কুমার বৈশ্য এবং হিন্দী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক কৃষ্ণমোহন ঝা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর রাজীব মোহন পন্ত প্রাচীর পত্রিকা উন্মোচনের মধ্য দিয়ে আজকের এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপিকা স্নিগ্ধা দাস রায় তাঁর উদ্বোধনী ভাষণের মাধ্যমে অতিথিদের স্বাগত জানানোর সাথে সাথে সংস্কৃত দিবসের তাৎপর্য যথাযথরূপে ব্যক্ত করেন । প্রফেসর কৃষ্ণমোহন ঝা সংস্কৃত দিবস ও সংস্কৃত ভাষা তথা বিষয়ের উপর তাঁর মূলবান বক্তব্যের মাধ্যমে সভাকে সমৃদ্ধ করেন।
তিনি সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য সম্পর্কে প্রচলিত মত তথা বৌদ্ধিক মত গুলির তুলনামূলক আলোচনা করে ভারতীয় ঔপমহাদেশিক প্রেক্ষাপটে সংস্কৃত ভাষা চর্চার প্রয়োজনীয়তা যে অনস্বীকার্য, তা তুলে ধরেন। উপাচার্য রাজীব মোহন পন্ত তাঁর অধ্যক্ষীয় ভাষণে ভারতীয় সংস্কৃতির মূলাধার সংস্কৃত ভাষার মহত্ত্ব এবং সংস্কৃতের সঙ্গে বিজ্ঞানের নিবিড় সম্পর্কের কথা সুচারুভাবে তুলে ধরেন। বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার উপর প্রাচীনকাল থেকেই যে ভারতবর্ষে অধ্যয়ন অধ্যাপনা চলতো তা তিনি তাঁর ভাষণে ব্যক্ত করেন।
এবং বিভাগের ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন- ‘তোমাদের উচ্ছ্বাস এবং উদ্দীপনা দেখে মনে হয় দেশ সঠিক দিশায় এগোচ্ছে, নিসন্দেহে আমরা আগামীতে ভারতকে পৃথিবীর বুকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে অধিষ্ঠিত করতে পরবো।’ এই বিশ্বসংস্কৃতদিবস উদযাপন উপলক্ষে সাত দিনব্যাপী সংস্কৃত-সম্ভাষণ শিবিরের আয়োজন করা হয় এবং সেই সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিভাগীয় ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও বরাক উপত্যকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আগত ছাত্র ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে তাদের আজকের এই অনুষ্ঠানে শংসাপত্র প্রদান করা হয়। সবশেষে বিভাগীয় অধ্যাপক ডা: গোবিন্দ শর্মার ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের পরিসমাপ্তি হয় এবং দ্বিতীয় পর্বে তাঁরই তত্ত্বাবধানে বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিশ্বসংস্কৃত-দিবস উৎসবের আজকের এই আয়োজনের পরিসমাপ্তি ঘটে । বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপিকা স্নিগ্ধা দাস রায় সংবাদ প্রতিবেদনে এই বিবৃতি দিয়েছেন।