বড়খলা উন্নয়ন খন্ড এলাকায় প্রধানমন্ত্রী আবাস গৃহ সম্পর্কে বিস্তর অভিযোগ

2 - মিনিট |

জেলা শাসকের হস্তক্ষেপ দাবি

প্রকৃতি নিউজ কনসার্ন

বড়খলা : এমনিতেই বড়খলা উন্নয়ন খন্ডে প্রধানমন্ত্রী আবাস গৃহের বিরুদ্ধে দেদার অভিযোগ সংবাদ মাধ্যমে প্রতিনিয়ত প্রকাশিত হচ্ছে, প্রশাসনের তরফে কতটা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা ও স্পষ্ট নয়।এর মধ্যে আরেকটি বড় ধরনের কেলেঙ্কারির তথ্য হাতে এসেছে।

বিগত ২০২০ ইংরেজিতে বড়খলা উন্নয়ন খন্ডের অধীন সোনাপুর ১ ম খন্ড এলাকার বাসিন্দা আজিম উদ্দিন লস্কর পিতা মৃত আব্দুল খালিক লস্করের নামে একটি প্রধানমন্ত্রী আবাস গৃহ মঞ্জুর হয়। প্রধানমন্ত্রী আবাস গৃহের গাইড লাইন অনুযায়ী জি,আর,এস তার বাড়িতে এসে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে ঊর্দ্ধতন কতৃপক্ষের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ঐ বছরের ২৭-১১-২০২০ ইং তারিখে আজিম উদ্দিন লস্করের এস বি আই একাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা মোট ৩২.৫০০ জমা হয়। প্রথম কিস্তির টাকা তুলে দিন মজুর আজিম উদ্দিন ঘরের কাজে হাত দেন.এরপর সরকারের গাইড লাইন অনুযায়ী জি,আর এস কে প্রথম কিস্তির অর্থ দিয়ে নির্মিত ঘরের সরজমিনে পরিদর্শন করার জন্য অবগত করেন।

Register your business, organisation, and services in ‘InfoCom Silchar Diary’
e-mail: infocom.krc@gmail.com
Know More | Apply Here

কিন্তু যথাসময়ে কোন পরিদর্শনে আর কেউ আসে নি.এক বছর পর অর্থাৎ ১৩-১২-২০২১ ইং তার এস বি আই একাউন্টে জব কার্ডের আরও ৩৩৫০ টাকা জমা হয়। এরপর তিনি ২ য় কিস্তির টাকার জন্য সোনাপুর গাঁও পঞ্চায়েতের সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বেশ কয়েকদিন,সচিব তাকে বলেন যে জি আর এস বদলের জন্য দেরি হচ্ছে,জি আর এস আসলেই ২ য় কিস্তির টাকা জমা হবে।

দুই বছর পর অর্থাৎ ৩-৩-২০২২ ইং তারিখে তার এস বি আই একাউন্টে ২ য় কিস্তির টাকা মোট ৪৮.৭৫০ টাকা জমা হয়,ঐ টাকা তুলে এনে পুনরায় ঘরের কাজ শুরু করেন, কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর সরকারের গাইড লাইন অনুযায়ী আবার ও সরজমিন পরিদর্শন করে ফটো তুলে যেখানে তৃতীয় কিস্তির টাকা প্রদানের ব্যবস্থা আছে তা করা হয় নি। ফলে অর্দ্ধ নির্মিত ঘর সম্পূর্ণ করতে দিন মজুর আজিম উদ্দিন লস্কর ধার নিয়ে ঘরের কাজ সম্পূর্ণ করেন।

এবিষয়ে একাধিক বার পঞ্চায়েত অফিস থেকে শুরু করে বড়খলা উন্নয়ন খন্ডে যোগাযোগ করেন কিন্তু আজ পর্যন্ত অর্থাৎ ২০২৩ ইংরেজীর সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত তার নামের বরাদ্দকৃত তৃতীয় কিস্তির টাকা এবং জব কার্ডের অবশিষ্ট টাকা পান নি। অবশেষে আজিম উদ্দিন লস্কর গতকাল সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তার সাথে কিভাবে প্রতারণা করা হয়েছে তা তুলে ধরে কাছাড়ের জেলা শাসক, মূখ্যমন্ত্রীর তদারকি সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুবিচারের দাবি জানান।

এখানে উল্লেখ্য যে বিগত ২০২০ ইং সালের বরাদ্দকৃত প্রধানমন্ত্রী আবাস গৃহের তৃতীয় কিস্তির টাকা আজ তিন বছর ধরে সরকারের কোন খাতে জমা পড়ে আছে আর কি ভাবে আসাম সরকারের অডিট বিভাগের চোখ এড়িয়ে গেছে তা নিয়ে বর্তমান সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন বিভাগে কি ধরণের কেলেঙ্কারি সংঘটিত হচ্ছে তার জলন্ত উদাহরণ এই তথ্য। এই কেলেঙ্কারির ঘটনা নিয়ে কাছাড়ের জেলা শাসক রোহন কুমার ঝা কি ব্যবস্থা নেন তা নিয়ে সচেতন নাগরিক গন অপেক্ষা করছেন বলে জানা গেছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *