এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিলেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং
‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’-এই মন্ত্র বাস্তবায়িত করার জন্য অতিব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে নীতি আয়োগ| শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের পঞ্চম বৈঠকে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী| পাশাপাশি ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করাই মূল লক্ষ্য কেন্দ্রের, এমনই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী| এদিন নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের পঞ্চম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস-এই মন্ত্র বাস্তবায়িত করার জন্য অতিব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে নীতি আয়োগ….২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করাই লক্ষ্য কেন্দ্রীয় সরকারের| এ জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ| মত্স্য, পশু খামার, উদ্যান পালন, ফল ও সব্জি উত্পাদনে গুরুত্ব দেওয়া উচিত| পিএম-কিষাণ-কিষাণ সম্মান নিধি এবং অন্যান্য কৃষক কেন্দ্রিক প্রকল্পের সুবিধা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে|’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘আয় ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য রফতানি ক্ষেত্র অতিব গুরুত্বপূর্ণ| রফতানির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত রাজ্যগুলির| নতুন তৈরি করা জল শক্তি মন্ত্রক জলের চাহিদা পূরণে বিশেষভাবে সহায়তা করবে|’
আর উল্টো দিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং| এই তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের পঞ্চম বৈঠকে যোগ দেননি| সূত্রের খবর, শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং| আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, রাজ্যকে আর্থিক সহায়তায় ‘অক্ষম’ নীতি আয়োগ| তাই নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেননি তিনি| এই তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া দেশের প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা নীতি আয়োগের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন|
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই লালকেল্লার প্রাচীর থেকে দেওয়া প্রথম বক্তৃতাতেই নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন, যোজনা কমিশন তুলে দেওয়া হবে। সময়ের চাহিদা মেনে তার জায়গায় তৈরি করা হয় নতুন প্রতিষ্ঠান। ২০১৫ সালে আত্মপ্রকাশ করে নতুন প্রতিষ্ঠান ‘নীতি আয়োগ’। নীতি-র পুরো কথাটি হল ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া’। অর্থাৎ, দেশকে আমূল বদলে দেওয়ার প্রতিষ্ঠান। যার শীর্ষে (চেয়ারপার্সন) রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে সঠিক আর্থিক নীতি তৈরিতে সাহায্য করতে এবং সেখানে নতুন চিন্তা-ভাবনার জোগান দেওয়ার জন্য মূলত ‘থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক’ হিসেবেই কাজ করে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিলেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং| তবে, এই প্রথম নয়, এর আগেও নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেননি মমতা।