৪৬৩ পাতার ‘রামচরিত মানস’ কাব্য গ্রন্থটি খাতায় কলমে উল্টো দিক দিয়ে লিখেছেন। তাও আবার দেড়’শ দিন। গত ৩ মে ২০১৯ সালে ইন্ডিয়া রেকর্ড বই প্রথম হয়েছেন প্রতিবিম্ব লিখনে (মিরর রাইটিং)
প্রতিবিম্ব লিখন। উল্টো দিক থেকে লেখা। দু-এক লাইন বা দু এক পাতা নয়। একটানা প্রায় সাড়ে ৪৬৩ পাতা লেখা। আর ওই লেখাতেই ভারত রেকর্ড গড়ল পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদের ব্যাবসায়ী। ২০১৯ সালের ভারত রেকর্ড বই নাম তুলে নজির গড়েছেন ওই ব্যাবসায়ী। আর তাতেই খুশী পরিবার থেকে এলাকার ব্যাবসায়ী মহল।
ভেলজী প্যাটল। বুদবুদ ডাকবাংলো এলাকার বাসিন্দা। পেশায় ব্যাবসায়ী। পড়াশোনা সপ্তম পাশ। তার মধ্যেও লেখার ওপর ঝোঁক ছোটো থেকে। সোজা দিকে সবাই লেখে। উল্টো দিক থেকে লেখাটা সত্যিই কঠিন। মনের আদম্য ইচ্ছাশক্তিতেই উল্টো দিক থেকে লিখে ভারতবর্ষে নজির সৃষ্টি করেছেন। ৪৬৩ পাতার ‘রামচরিত মানস’ কাব্য গ্রন্থটি খাতায় কলমে উল্টো দিক দিয়ে লিখেছেন। তাও আবার দেড়’শ দিন। গত ৩ মে ২০১৯ সালে ইন্ডিয়া রেকর্ড বই প্রথম হয়েছেন প্রতিবিম্ব লিখনে (মিরর রাইটিং)। গত পরশুদিনই তার শংসাপত্র, পদক, ব্যাচ হাতে পেয়েছেন। ভেলজিবাবু বলেন,” লেখার ইচ্ছেটা ছোটো থেকেই। পড়াশোনা সেভাবে করতে পারিনি। মাঝপথে বাবার ব্যাবসায় হাত ধরতে হয়। বছর কয়েক আগে স্ত্রী অসুস্থ থাকায় উল্টো দিক থেকে হনুমান চল্লিশা লেখা শুরু করি। তারপর সুন্দরকান্ড। গত ২০১৭ সালের ২৪ আগষ্ট ‘রামচরিত মানস’ গ্রন্থটি উল্টো দিক থেকে লেখা শুরু করি। হিন্দি ভাষায় ওই লেখা ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারী সেটা শেষ হয়। ওই লেখায় ইন্ডিয়া রেকর্ড বুকে স্থান পায়।” সম্প্রতি তিনি ইসকনের ‘গীতা’ গ্রন্থটি ইংরাজীতে একইরকমভাবে উল্টো দিক থেকে লেখা শুরু করেছি। ইচ্ছা আছে এবার বিশ্ব রেকর্ড গড়ার।” তিনি আরও জানান,” ছেলেরা বড় হয়েছে। তাই ব্যাবসায় খানিকটা অবসর সময় পাওয়া যায়। তার মধ্যেই এসব লেখার কাজ করে থাকি।”ভেলজিবাবুর লেখায় তাঁর স্ত্রী যেমন প্রেরনা দিতেন। তেমনই বর্তমানে তাঁর দুই ছেলে, দুই নাতিও সমানে অনুপ্রেরনা দিয়ে চলেছেন। বুদবুদ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি রতন সাহা জানান,” ব্যাবসার সঙ্গে এধরনের লেখার প্রবনতা অনেক ধৈর্য্যশীল কাজ। ভেলজীবাবুর যেভাবে উল্টো দিক দিয়ে লিখে রেকর্ড গড়েছেন। অত্যন্ত প্রসংশনীয়। আমরা গর্বিত।”