২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ১৩ বছর বয়সে ‘রাজনৈতিক অস্থিরতা’র দায়ে গ্রেপ্তার করে সৌদি পুলিশ। বিচার শেষে তাকে গ্রেপ্তারের পর থেকে বিচার চলাকালীন কারাবাসসহ প্রাথমিকভাবে মোট ১২ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। পরে কম বয়সের কারণে ৪ বছর সাজা কমিয়েও দেয়া হয় তার
রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় মাত্র ১৩ বছর বয়সে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া মুর্তজা কুরেইরিসের মৃত্যুদণ্ডের সাজা বাতিল করেছে সৌদি সরকার। শুধু তাই নয়, ২০২২ সালেই তাকে মুক্তি দেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনও বিবৃতিতে দেওয়া হয়নি।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময় ঘনিয়ে আসায় এ নিয়ে দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমগুলোতে আলোচনা শুরু হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা শনিবার বার্তা সংস্থাগুলিকে এ তথ্য জানান। কিন্তু মৃত্যুদণ্ড বাতিলের কারণ হিসেবে কিছু জানাননি তিনি।
আরব বসন্তের সময় সৌদি রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল ১০ বছর বয়সি কিশোর মুর্তজা কুরেইরিস। বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে নিরস্ত্র অবস্থায় সাইকেল নিয়ে অহিংস প্রতিবাদে নেমেছিল সে।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ১৩ বছর বয়সে ‘রাজনৈতিক অস্থিরতা’র দায়ে গ্রেপ্তার করে সৌদি পুলিশ। বিচার শেষে তাকে গ্রেপ্তারের পর থেকে বিচার চলাকালীন কারাবাসসহ প্রাথমিকভাবে মোট ১২ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। পরে কম বয়সের কারণে ৪ বছর সাজা কমিয়েও দেয়া হয় তার।
এরপর চলতি বছরের শুরুতে তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় দেয়া হয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ অন্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো চলতি মাসেই প্রতিবেদন প্রকাশ করে যে, মুস্তফার বিরুদ্ধে সৌদির সরকারপক্ষের আইনজীবী এমন সব অভিযোগের কথা বলে মৃত্যুদণ্ডের আবেদন করেছেন যেগুলো ঘটার সময় হিসেব করলে মুস্তফার বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর।
তার মৃত্যুদণ্ডাদেশকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী তুমুল প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
গত এপ্রিলে সৌদি আরবের সুন্নি রাজপরিবার ৩৭ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসমূলক অপরাধের অভিযোগ এনে শিরশ্ছেদ কার্যকর করে। জাতিসংঘের অভিযোগ, এদের অধিকাংশই শিয়া সংখ্যালঘু। সংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধানের দাবি, এদের ব্যাপারে ন্যায়বিচার করা হয়নি এবং সাজা প্রাপ্তদের অন্তত ৩ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক।