হাসিমারা থেকে ভুটানে যাওয়ার এশিয়ান হাইওয়ে-৪৮ এর উপর দিয়ে বইছে জল । ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। মাদারিহাট থেকে হাসিমারা যাওয়ার রাজ্য সড়ক জলের নিচে । বারবিশায় ফ্ল্যান্ডসেন্টারে ইতিমধ্যেই লোকজন এসে আশ্রয় নিয়েছে
বর্ষার শুরুতেই অতিরিক্ত বৃষ্টিতে বানভাসি আলিপুরদুয়ার সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। জলপাইগুড়ির সেচ দফতরের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী বৃষ্টিপাতের পরিমান এইবছর সবচেয়ে বেশি। কয়েকদিনের মোট বৃষ্টির পরিমান ৪০৫.৪০ মিলিমিটার। কোচবিহার , জলপাইগুড়ি এবং শিলিগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে জল জমেছে অনেক এলাকাতেই। কালজানি, রায়ডাক, তোর্সা নদীতে জল বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বইছে।
হাসিমারা থেকে ভুটানে যাওয়ার এশিয়ান হাইওয়ে-৪৮ এর উপর দিয়ে বইছে জল । ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। মাদারিহাট থেকে হাসিমারা যাওয়ার রাজ্য সড়ক জলের নিচে । বারবিশায় ফ্ল্যান্ডসেন্টারে ইতিমধ্যেই লোকজন এসে আশ্রয় নিয়েছে । জলমগ্ন জলপাইগুড়ির অন্তর্গত ডুয়ার্সের বহু এলাকা । এর পাশাপাশি আগামী ৪৮ ঘন্টাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা জারি করা হয়েছে ভুটান সরকারের পক্ষ থেকে । এইভাবে মুষলধারে বৃষ্টি চলতে থাকলে ভোগান্তিতে পড়তে হবে বিশাল জনপদকে। সাধারণ মানুষের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই ইতিমধ্যেই ৫ টি ত্রান শিবির খোলা হয়েছে।
জলপাইগুড়ির সেচ দফতরের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘটে যাওয়া বৃষ্টিপাতের পরিমান :
আলিপুরদুয়ার- ৪০৫.৪০ মিলিমিটার
জলপাইগুড়ি- ১৪৮.৫০ মিলিমিটার
তুফানগঞ্জ – ১৭০.৪০ মিলিমিটার
কোচবিহার -৭৬.৮০ মিলিমিটার
মাথাভাঙা- ৩১.৪০ মিলিমিটার
হাসিমারায়- ২৫১.৮০ মিলিমিটার
ময়নাগুড়ি- ৭৮.০০ মিলিমিটার
শিলিগুড়ি- ৬৯.৮০ মিলিমিটার
বানারহাট- ২২০.০০ মিলিমিটার