তিন বছর ডিটেনশন ক্যাম্পে কাটিয়ে আজ খোলা আকাশের নীচে এলেন স্বদেশি মধুবালা মণ্ডল

< 1 - মিনিট |

চিরাঙের পুলিশ সুপার সুধাকর সিঙের দাখিলকৃত আবেদনের ভিত্তিতে বিদেশি ট্রাইব্যুনাল ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে মধুবালা মণ্ডলকে মুক্ত করে দেওয়ার নিৰ্দেশ দিয়েছে৷

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

নাম এক, উপাধি ভিন্ন। উপাধি বিভ্রাটে এবং রাজ্যের সীমান্ত পুলিশের বদান্যতায় টানা তিনবছর কোকরাঝাড়ের ডিটেনশন ক্যাম্পে দুর্বিসহ বন্দিজীবন কাটিয়ে অবশেষে বুধবার খোলা আকাশের নীচে এলেছেন মধুবালা মণ্ডল নামের বছর ৫৯-এর প্রৌঢ়া।
মূলত মধুবালা নমোদাস নামের জনৈক মহিলাকে বিদেশি বলে রায় দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। বিদেশি শনাক্তকরণ ট্রাইব্যুনালের রায়ের কপি হাতে নিয়ে অসম পুলিশের সীমান্ত শাখার আধিকারিকরা চিরাং জেলার বিজনি মহকুমার অন্তর্গত ১ নম্বর বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা মধুবালা মণ্ডলকে ধরে পাঠিয়ে দেয় কোকরাঝাড়ের ডিটেনশন ক্যাম্পে। প্রসঙ্গত মধুবালা মণ্ডল এবং মধুবালা নমোদাস একই গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, চিরাঙের পুলিশ সুপার সুধাকর সিঙের দাখিলকৃত আবেদনের ভিত্তিতে বিদেশি ট্রাইব্যুনাল ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে মধুবালা মণ্ডলকে মুক্ত করে দেওয়ার নিৰ্দেশ দিয়েছে৷ 
বিভিন্নজনের অভিযোগ, ২০১৬ সালে বিদেশি ট্রাইব্যুনাল ১ নম্বর বিষ্ণুপুর গ্রামের জনৈক মাখন নমোদাসের পত্নী মধুবালা নমোদাসকে বিদেশির নোটিশ পাঠিয়েছিল। ইত্যবসরে মৃত্যু হয় মাখন নমোদাস ও তাঁর মধুবালা নমোদাসের। এদিকে বিদেশি ট্রাইব্যুনালের নোটিশের ভিত্তিতে মধুবালা নমোদাসকে না পেয়ে একই গ্রামের মধুবালা মণ্ডলকে ধরে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news