বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্তি পেতে হলে প্রার্থীকে বিএড বা ডি.ইএল.এডি ডিগ্ৰির প্ৰয়োজন হবে। এছাড়া শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত হওয়ার ক্ষেত্ৰে আবেদনকারীকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বা অন্য পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বরপ্রাপ্ত হতে হবে
‘টেট পরীক্ষার জন্য বিএড অথবা ডি.ইএল.এডি ডিগ্ৰিকে বাধ্যতামূলক করা হবে না।’ টেট পরীক্ষার্থীদের স্বস্তির বার্তা দিয়ে এ-কথা জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, রাজ্য সরকার ইতিপূর্বে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা থেকে সরে এসেছে। সে অনুযায়ী অনুষ্ঠেয় ‘টেট’ পরীক্ষায় এবার যাঁরা বসবেন, তাঁদের বিএড কিংবা ডি.ইএল.এডি (ডিএলএড) ডিগ্ৰিধারী হতে হবে না, এককথায় টেট-এ বাধ্যতামূলক নয় এই সব ডিগ্রি। তবে অনুষ্ঠেয় টেট পরীক্ষায় অবতীৰ্ণ হতে পরীক্ষাৰ্থীদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা কী হতে হবে সে-সম্পৰ্কে খুব শীঘ্ৰই রাজ্যের শিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তি জারি করবে, জানান মন্ত্রী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য।
প্রসঙ্গক্রমে অবশ্য তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্তি পেতে হলে প্রার্থীকে বিএড বা ডি.ইএল.এডি ডিগ্ৰির প্ৰয়োজন হবে। এছাড়া শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত হওয়ার ক্ষেত্ৰে আবেদনকারীকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বা অন্য পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বরপ্রাপ্ত হতে হবে বলেও গুরুত্বপূর্ণ মত প্ৰকাশ করেছেন মন্ত্রী।
এদিকে, শিক্ষা দফতর সূত্ৰে প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, চলতি শিক্ষাবৰ্ষের অক্টোবরের দিকে রাজ্যে টেট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্য সরকার কর্তৃক ইতিপূর্বে অনুষ্ঠিত টেট পরীক্ষায় উত্তীৰ্ণ বহু প্রার্থীকে এখনও নিয়োগ করা হয়নি। এ-ক্ষেত্ৰে নতুন করে টেট পরীক্ষার আয়োজন করে কতজন বেকারকে সরকার সংস্থাপন দিতে সক্ষম হবে তা নিয়ে ওয়াকিবহাল মহলে প্রশ্ন উঠেছে।