২০১৮-র মে মাসে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কাছে ৪৯৫ জনের নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে। এখনও তার বিজ্ঞাপণ প্রকাশিত হয়নি। ফলে আইটিআইগুলো চালু রাখতে বর্তমান শিক্ষকদের বেশি ক্লাস নেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে। নতুন শিক্ষক নেওয়া গেলে সমস্যাটা দূর হবে
পশ্চিমবঙ্গ বিভিন্ন আইটিআইয়ে শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব এক বছরের ওপর রাজ্যের পাবলিক সার্ভিস কমিশনে (পিএসসি) ফাইলবন্দি হয়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিধানসভা অধিবেশনে এ কথা জানান কারিগরি শিক্ষা-প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী পূর্নেন্দু বসু।
এ দিন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নার্গিস বেগম রাজ্যে মোট ক’টি আইটিআই (ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইন্সটিট্যুট) কলেজ চালু আছে এবং এই কেন্দ্রগুলো থেকে মোট কত জনের কর্ম সংস্থান হয়েছে, প্রশ্নোত্তর পর্বে তা জানতে চান। জবাবে মন্ত্রী বলেন, রাজ্যে মোট আইটিআই ২৬৮। এর মধ্যে সরকারি ১৩০ (এর দুটি বন্ধ), বেসরকারি ১৩৮ (১০টি বন্ধ)। এ বছর নতুন কোনও আইটিআই না খুলে পুরনোগুলোর মানোন্নয়নের পরিকল্পনার কথাও অধিবেশনে জানান মন্ত্রী।
পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, সরকারি ১৩০টি আইটিআইয়ের মধ্যে পুরো সরকারি ৫৩টি, ৭৭টি সরকারি জমি-বাড়িতে বেসরকারি উদ্যোগে। রাজ্যের আইটিআইগুলোয় কর্মসংস্থানের হার ৯০ শতাংশ দাবি করলেও তিনি স্বীকার করেন এ ব্যাপারে কোনও সরকারি নথি নেই। আলোচনায় অধিবেশন কক্ষের বিরোধী বেঞ্চ থেকে মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, আইটিআইয়ে আংশিক সময়ের শিক্ষকদের মাসে যেখানে ৭০টি ক্লাস নেওয়ার কথা, সেখানে কিছু আইটিআই-তে নিতে হচ্ছে ১৩০টি ক্লাস।
এর জবাবে মন্ত্রী সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, বহু আইটিআই-তে শূন্য পদ রয়েছে। এটা নতুন নয়, কয়েক দশক ধরে এই অবস্থা। ২০১৮-র মে মাসে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কাছে ৪৯৫ জনের নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে। এখনও তার বিজ্ঞাপণ প্রকাশিত হয়নি। ফলে আইটিআইগুলো চালু রাখতে বর্তমান শিক্ষকদের বেশি ক্লাস নেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে। নতুন শিক্ষক নেওয়া গেলে সমস্যাটা দূর হবে।
সিপিএমের আমজাদ হোসেন প্রশ্ন করেন রাজ্যের বৃত্তিমূলক শিক্ষায় আংশিক এবং চুক্তিবদ্ধ শিক্ষকদের যৎসামান্য দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী জবাবে বলেন, “ওই ক্ষেত্রে যত সংগঠন আছে, তাদের সঙ্গে গত দেড় বছরে অন্তত ১০ বার আমরা বৈঠকে বসেছি। অর্থ দফতরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদিত হলে ভাল। ওই ক্ষেত্রে আপনারা যে অবস্থা তৈরি করে গিয়েছেন, তা-ই আছে।’’