“ভালবাসার চেয়ে বড় শাস্তি হতে পারে না। ভালবেসে কিছু করার চেয়ে ভাল কাজ কী হতে পারে? সবাইকে ভালবেসে আপন করে নেওয়াটাই বড় বাপার”
ভালবাসার মাধ্যমে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অশান্তি ঠেকানোর পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার তিনি বিধানসভা অধিবেশনে একথা বলেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন হাসপাতালে অশান্তি প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেন, ওই মান্নানদা (আব্দুল মান্নান) যা বলেছেন, সব ভাল যার শেষ ভাল। যা হয়ে গিয়েছে তা নিয়ে আর তর্কবিতর্ক করে লাভ নেই। বিভিন্ন রাজ্যে হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে সমস্যা হয়েছে। ওঁদের আন্দোলন ভাঙতে ২০০৮ সালে বিজেপি এসমা জারি করেছিল। ২০০৯-এ গুজরাতে নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ১৫০ জন চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১৫-তে দিল্লিতে আপ সরকার এসমা জারি করেছিল। রাজস্থানে, মণিপুরে বিজেপি সরকার ডাক্তারদের আন্দোলন ভেঙে দিয়েছিল। কিন্তু আমরা যদি মনে করি আন্দোলন সঠিক, তা হলে ও রকম কেন করব? ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের কিছু বক্তব্য থাকতেই পারে? আমি তো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওদের আন্দোলন চলার সময় গিয়েছিলাম ওরা না ডাকা সত্বেও। এসএসসি-র পরীক্ষার্থীরাও ডাকেনি। ওদের কাছেও গিয়েছিলাম। সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক নিগ্রহ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এ দিন একাধিক প্রশ্ন ওঠে আলোচনায়। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে আমাদের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা ইতিমধ্যে কথা বলেছেন। ওই সব হাসপাতালের নিজেদের সুরক্ষাব্যবস্থা আছে। তা সত্বেও তারা যদি কোনও নিরাপত্তা চায় আমরা আছি। আদতে আইনশৃঙ্খলার সবই তো রাজ্যের ব্যাপার। এটাও মনে রাখতে হবে, দূর থেকে রোগীরা হাসপাতালে আসে। তাদের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে মিষ্টি ব্যবহার করতে হবে। রোগীর বারির লোক কোনও দুঃসংবাদ শুনলে উত্তেজিত হয়ে উঠবে। ওদের সঙ্গে শান্তভাবে কথা বলতে হবে। মানে, পিআর ভাল করতে হবে। এর পরেই তিনি বলেন, “ভালবাসার চেয়ে বড় শাস্তি হতে পারে না। ভালবেসে কিছু করার চেয়ে ভাল কাজ কী হতে পারে? সবাইকে ভালবেসে আপন করে নেওয়াটাই বড় বাপার।”