বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশজুড়ে সরব হয়েছিলেন কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরাও। অনেকেই তাঁকে পদত্যাগপত্র ফিরিয়ে নেওয়ার আর্জিও জানান। তবে, সে সবকিছুই উড়িয়ে দিয়ে এদিন কংগ্রেস পার্টির নতুন সভাপতি নির্বাচনের দাবিও জানালেন রাহুল
দেশজুড়ে কংগ্রেস কর্মীদের আশায় জল ঢেলে নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্তেই অটল থাকলেন রাহুল গান্ধী। এমনকি তিনি আর কংগ্রেস পার্টির সভাপতি নন, এমন কথাও ঘোষণা করলেন বুধবার। বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশজুড়ে সরব হয়েছিলেন কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরাও। অনেকেই তাঁকে পদত্যাগপত্র ফিরিয়ে নেওয়ার আর্জিও জানান। তবে, সে সবকিছুই উড়িয়ে দিয়ে এদিন কংগ্রেস পার্টির নতুন সভাপতি নির্বাচনের দাবিও জানালেন রাহুল। তিনি জানান, “আর দেরি না করে পার্টির নতুন সভাপতি নির্বাচন করা উচিত। আমি এই প্রক্রিয়ায় থাকছি না।”লোকসভা নির্বাচনে দলের বিপর্যয়ের জেরে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় রাহুল গান্ধী। যদিও গত ২৫ মে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (সিডব্লিউসি) বৈঠকে ওই পদত্যাগপত্র খারিজ করে দিয়েছিল সিডব্লিউসি। তারপর দলের সভাপতির এহেন সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়িয়ে একের পর এক কংগ্রেস নেতার পদত্যাগের হিড়িক পড়ে যায়। এই প্রেক্ষাপটে তাঁর পদত্যাগপত্র ফিরিয়ে নেওয়ার আর্জি জানিয়ে সোমবার ৫ কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখাও করেন। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, মধ্যপ্রদেশের কমল নাথ, পঞ্জাব এবং পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রীরা আশা করেছিলেন কংগ্রেস পার্টির সভাপতির পদে তিনিই থাকবেন। এরপর মঙ্গলবার রাহুল গান্ধীর বাসভবনের সামনে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধরনায়ও বসেন একাধিক কংগ্রেস নেতানেত্রী। কিন্তু, সেইসব সম্ভাবনা উড়িয়ে এদিন রাহুল গান্ধী ঘোষণা করলেন, “আমি ইতিমধ্যেই আমার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। আমি আর কংগ্রেস পার্টির সভাপতি নই। নতুন সভাপতি নির্বাচনের জন্য শীঘ্রই বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত সিডব্লিউসি-র।”