বয়সের ভারে ন্যুব্জ ভারতীয় রেলের আধুনিকীকরণ ও নয়া পরিকাঠামো নির্মাণে আনুমানিক ব্যয় ১৫ লক্ষ কোটি টাকা৷ কিন্তু রেল আয় করছে মাত্র ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা৷ ফলে এই বিপুল অর্থ জোগান দিতে প্রয়োজন বেসরকারি বিনিয়োগের
প্রথম বাজেটে ভারতীয় রেলে ‘পিপিপি’ মডেল বা ‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ’-এর প্রস্তাব দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ৷ শুক্রবার দ্বিতীয় মোদী সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী সাফ জানান, বয়সের ভারে ন্যুব্জ ভারতীয় রেলের আধুনিকীকরণ ও নয়া পরিকাঠামো নির্মাণে আনুমানিক ব্যয় ১৫ লক্ষ কোটি টাকা৷ কিন্তু রেল আয় করছে মাত্র ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা৷ ফলে এই বিপুল অর্থ জোগান দিতে প্রয়োজন বেসরকারি বিনিয়োগের৷ তাই এই মুহূর্তে পরিস্থিতির দাবি মেনে ‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ অত্যন্ত জরুরি৷ব্রিটিশ আমলের ব্রিফকেসের বদলে অশোকস্তম্ভের চিহ্ন দেওয়া লাল শালু মোড়া বাজেট ভাষণের নথি নিয়ে শুক্রবার সংসদে প্রবেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ৷ এদিন দ্বিতীয় মোদী সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করতে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে রেলের পরিকাঠামো নির্মাণের কথা ঘোষণা করলেন রেলমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সাফ জানান জরাগ্রস্ত ভারতীয় রেলের খোলনলচে পালটাতে বেসরকারি বিনিয়োগ অত্যন্ত জরুরি ৷ এর জন্য ভারতীয় রেলে এবার রেলে ‘পিপিপি’ মডেল বা ‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ’-এর প্রস্তাব দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ৷ এদিন অর্থমন্ত্রী সাফ জানান, বয়সের ভারে ন্যুব্জ ভারতীয় রেলের আধুনিকীকরণ ও নয়া পরিকাঠামো নির্মাণে আনুমানিক ব্যয় ১৫ লক্ষ কোটি টাকা৷ কিন্তু রেল আয় করছে মাত্র ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা৷ ফলে এই বিপুল অর্থ জোগান দিতে প্রয়োজন বেসরকারি বিনিয়োগের৷ তাই এই মুহূর্তে পরিস্থিতির দাবি মেনে ‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ অত্যন্ত জরুরি৷ এদিন সীতারমণ আরও জানান, যাত্রী পরিষেবা ও দেশজুড়ে পণ্য জোগানের কথা মাথায় রেখে নির্মলা সীতারমন জানালেন, শুধুমাত্র রেলের পরিকাঠামোয় আগামী ১১ বছরে (২০৩০ সাল পর্যন্ত) ৫০ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করা হবে। এদিন রেলে ‘আদর্শ ভাড়া’ লাগু করার ঘোষণাও করেন সীতারমন। দেশে আরও ৩০০ কিলোমিটার মেট্রো রেল প্রকল্পের অনুমোদনও দিয়েছে কেন্দ্র। রেলের টিকিটের দাম বাড়েনি। তবে আগামী দিনে আদর্শ ভাড়া প্রকল্প চালু করার কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। অনেকেই মনে করছেন, রেলের লোকসান কমাতে ভাড়া বাজারের উপরে ছাড়া হতে পারে। যাত্রীস্বাচ্ছন্দ্য, সুযোগসুবিধা ও নিরাপত্তায় জোর দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। ট্রেনের গতি বাড়ানোর চেষ্টাও জারি থাকবে। ২০২২ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে ফ্রেট করিডরের কাজ। এর ফলে রেল লাইনের উপরে চাপ কমবে। তার জেরে আগামী দিনে সেমি হাইস্পিড ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। ছোট শহরে রেলের উন্নয়নে এসপিভি-র উপরে জোর দিয়েছে সরকার। সেমি হাইস্পিড ট্রেনের সংখ্যাও বাড়তে চলেছে। সময়ে ট্রেন চালানোর উপরেও জোর দিয়েছে কেন্দ্র। এদিকে, রেলের আধুনিকীকরণে বেসরকারি বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়ে নিশ্চিতভাবে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হবে সরকারকে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷ আগেও রেলের বেসরকারিকরণ নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কর্মী সংগঠনের সদস্য ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি৷ ফলে রেলের খোলনোলচে পালটানোর বিষয়টি যে খুব সহজ হবে না তা স্পষ্ট৷