২০২২ সালের মধ্যে দেশের প্রত্যেক বাড়িতে পৌঁছে যাবে বিদ্যুৎ | পৌঁছে যাবে দূষণমুক্ত জ্বালানিও
নূন্যতম সরকার, সর্বোত্তম পরিষেবা, এটাই নরেন্দ্র মোদী সরকারের অন্যতম লক্ষ্য | ২০২২ সালের মধ্যে দেশের প্রত্যেক বাড়িতে পৌঁছে যাবে বিদ্যুৎ | পৌঁছে যাবে দূষণমুক্ত জ্বালানিও | প্রত্যাবর্তনের পর শুক্রবার দ্বিতীয় নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেটে এ কথাই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ | বাজেট পেশ করতে গিয়ে এদিন গৃহঋণের ক্ষেত্রে কর ছাড়ের কথা ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
শুক্রবার লোকসভায় বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, আগে সাধ্যের মধ্যে থাকা আবাসনের ( অ্যাফর্ডেবল হাউজিং ) ক্ষেত্রে গৃহঋণ নিলে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হতো। সেই ছাড়ের পরিমাণ বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লক্ষ করা হলো। অর্থাৎ ছাড়ের পরিমাণ বাড়ল দেড় লক্ষ টাকা। কার্পেট এরিয়া ও দাম, এই দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে এই সাধ্যের মধ্যে থাকা আবাসন চিহ্নিত করা হয়। মেট্রো শহরের ক্ষেত্রে যে সব আবাসনের কার্পেট এরিয়া ৬০ বর্গমিটারের মধ্যে, বা দাম ৪৫ লক্ষ টাকার মধ্যে, সেগুলিকে সাধ্যের মধ্যে থাকা আবাসন বা অ্যাফর্ডেবল হাউজিং বলে। মেট্রো শহর ছাড়া অন্য জায়গায় এই কার্পেট এরিয়া বাড়িয়ে ৯০ বর্গমিটার করা হয়। তবে দাম সেই ৪৫ লক্ষ টাকাই থাকে। অর্থাৎ ৪৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফ্ল্যাট কিনতে গেলে এ বার থেকে গৃহঋণে দেড় লক্ষ টাকা ছাড় পাওয়া যাবে। এর আগে জিএসটি কাউন্সিলের ৩৩ তম বৈঠকে তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, সাধ্যের মধ্যে থাকা আবাসন কিনতে গেলে ক্রেতাকে আগে ৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হতো। সেই জিএসটি কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে। ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয় এই নতুন নিয়ম। দীর্ঘ ৭২ বছরের রীতি ভেঙে এবার নতুন চমক দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ| ব্রিফকেস ছাড়াই এবার লাল রঙের ফাইলে বাজেট ২০১৯ নথি নিয়ে সংসদে আসেন অর্থমন্ত্রী| ঘড়ির কাঁটায় বেলা এগারোটা, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করেন দেশের প্রথম পূর্ণ সময়ের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।