এ-সব ঐতিহাসিক জায়গা ও ঘটনার বিবরণ জানতে প্রচুর সংখক দেশি বিদেশি পর্যটক ত্রিপুরায় আসবেন এবং রাজ্যের আর্থিক বিকাশ হবে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর
ত্রিপুরার অন্যতম এক পর্যটনকেন্দ্র গোমতি জেলার উদয়পুরের মাতা ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির। এই মন্দির দেখতে এসে দর্শকরা যাতে উদয়পুরে থাকতে পারেন, সে-জন্য নানা পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছে রাজ্যের বর্তমান সরকার, জানান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব। তিনি জানান, পর্যটকদের আকর্ষিত করতে ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরের দিঘিতে সকালে আরতীর ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিদিন ভোর চারটা থেকে আরতী শুরু হবে। আবার এই দিঘিতে রয়েছে দুর্লভ প্রজাতির বিভিন্ন আকারের কচ্ছপ ও মাছ। এগুলিকে দেখার জন্যও মানুষ আসেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরের পাশে খালি জায়গায় সতীর আরও ৫০ পীঠের আদলে হুবহু মন্দির তৈরি করা হবে। তখন উদয়পুরেই সতীর ৫১ পিঠের দর্শন পেয়ে যাবেন পর্যটকরা। রাজন্য আমলে নির্মিত এই মন্দির এখন দেশ-বিদেশের পর্যটকরা উপর থেকে দেখতে পারেন। এর জন্য ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরকে ঘিরে রোপওয়ে তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে বর্তমান সরকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব আরও জানান, চন্দ্রপুরে অবস্থিত উদয়পুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রোপওয়ে শুরু হয়ে প্রায় দেড় কিমি দূরে ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির পর্যন্ত যাবে। এর জন্য প্রায় ৩৫ কোটি টাকা খরচ হবে। এই কাজ শুরুর জন্য তৎপরতা চলছে। পরবর্তী পর্যায়ে ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির থেকে প্রায় ১০ কিমি দূরে ত্রিপুরার আরও এক অনন্যসুন্দর পর্যটন কেন্দ্র ছবিমুড়া পর্যন্ত রোপওয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। ঘন সবুজ বনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নদী ইত্যাদির উপর দিয়ে যাবে রোপওয়ে। এই দৃশ্য দেখার জন্য পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এর জন্য খরচ হয়ে প্রায় দেড়শো কোটি টাকা।
তিনি বলেন, ছবিমুড়ার জঙ্গলে গোমতি নদীর পাড়ে রয়েছে বিশাল আকারের দুর্গার ছবি। এগুলি ত্রিপুরার রাজন্য আমলে তৈরি করা হয়েছিল। এর ইতিহাস, এগুলির উপর মোগলদের আক্রমণ-সহ বিস্তারিত তথ্য তিলে ধরার জন্য গাইড নিয়োগ করা হবে। এ-সব ঐতিহাসিক জায়গা ও ঘটনার বিবরণ জানতে প্রচুর সংখক দেশি বিদেশি পর্যটক ত্রিপুরায় আসবেন এবং রাজ্যের আর্থিক বিকাশ হবে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।