‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান নিয়ে অমর্ত্য সেনের মন্তব্য, কলকাতার রাজপথে ছড়িয়ে দেওয়া হল ব্যানার

< 1 - মিনিট |

” ধর্মীয় ভেদাভেদ থেকে হিংসা কেন? সংবিধানে সমস্ত ধর্মের স্থান আছে। ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান আগে কখনও শুনিনি। ইদানিং মানুষকে মারার জন্য এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। আমার মনে হয় না এই স্লোগানের সাথে বাংলার সংস্কৃতির কোনও যোগাযোগ আছে”

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

কলকাতার রাজপথে এবার ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান নিয়ে অমর্ত্য সেনের মন্তব্যের ব্যানার দেখা গেল। সৌজন্যে শহর কলকাতার নাগরিকগণ। সমাজের নানা বিষয়ে নানা সময়ে সরব হওয়া নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ দিন সাতেক আগেই দেশজুড়ে ঘটে চলা ধর্মীয় ভেদাভেদ থেকে তৈরি হিংসা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। “জয় শ্রীরাম স্লোগানের সঙ্গে বাংলার সংকৃতির কোনও সম্পর্ক নেই”, অমর্ত্য সেনের এমন মন্তব্যের পরই গত শনিবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ কড়া ভাষায় আক্রমণও করেন তাঁকে। ‘উনি বাংলার সংস্কৃতিকে জানেন না’, পাল্টা কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। 
মূলত, রাজধানী দিল্লিতে একটি মন্দিরে ভাংচুরের ঘটনার পর কলকাতায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানের ভাষণে অর্থনীতিবিদ বলেছিলেন, “দেশের বিভিন্ন জায়গা, এমনকী এই বাংলাতেও ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান বলানো নিয়ে মারধর, এমনকী প্রাণ কেড়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এই ধর্মীয় ভেদাভেদ থেকে হিংসা কেন? সংবিধানে সমস্ত ধর্মের স্থান আছে। ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান আগে কখনও শুনিনি। ইদানিং মানুষকে মারার জন্য এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। আমার মনে হয় না এই স্লোগানের সাথে বাংলার সংস্কৃতির কোনও যোগাযোগ আছে।” ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় অমর্ত্য সেনের এই মন্তব্যের ব্যানার দেখা গেল মহানগরীর বিভিন্ন রাস্তায়। ব্যানারে এই মন্তব্যের সঙ্গে তাঁর একটি ছবিও রয়েছে এবং সৌজন্যে ‘নাগরিকদের পক্ষ থেকে প্রচারিত’ এমন উল্লেখও করা হয়েছে। এর আগে তাঁর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে আক্রমণ করে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “অমর্ত্য সেন বাংলাকে চেনেন না। বাংলা বা ভারতের সংস্কৃতি সম্পর্কে উনি কতটা অবগত? দেশের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি উঠছে। এখন গোটা বাংলাই এই স্লোগান দিচ্ছে।” প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে অমর্ত্য সেন বলেছিলেন, “জয় শ্রীরাম, রাম নবমী – এসব কোনও কিছুর সঙ্গেই বাঙালির কোনও যোগ নেই। এখানে দুর্গাপুজো হয়। বস্তুত, এখন গণপ্রহার করতে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ব্যবহৃত হচ্ছে। নতুন এই সংস্কৃতি আমদানির পিছনে বিভেদের রাজনীতি কাজ করছে। কলকাতায় এর আগে এত রামনবমী উদযাপন হতে আমি আগে দেখিনি। ‘মা দূর্গা’র তাত্পর্যকে কখনওই রামনবমীর সঙ্গে তুলনা করা যায় না।”

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *