৪ঠা জুলাই কাকদ্বীপ বন্দর থেকে প্রায় ১৫০টি ট্রলার আবহাওয়া দফতরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বঙ্গোপসাগরে পাড়ি দেয় ইলিশের খোঁজে। অবহাওয়া খারাপ হতে শুরু করায় প্রচণ্ড ঢেউ এর মধ্যে পরে বত্রিশটি ট্রলার সহ ৫১৬ জন মৎস্যজীবী বাংলাদেশের জলসীমার অনেকখানি ভেতরে ঢুকে পড়ে আশ্রয়ের খোঁজে
সপ্তাহ দুয়েক আগে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে পড়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। কাকদ্বীপ নামখানা এলাকা থেকে প্রায় দেড়শোটি ট্রলার গিয়েছিলেন বঙ্গোপসাগরে। দিন তিনেক বাদে হঠাৎ আবহাওয়া খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণে, বহু ট্রলার বাংলাদেশী জলসীমার মধ্যে ঢুকে পরে। এরমধ্যে বঙ্গোপসাগরের হাড়ি ভাঙার চড়ের কাছে চারটি ট্রলার ডুবে ও যায়। সেই ঘটনায় এখনো নিখোঁজ ২৪ জন মৎস্যজীবী। আবহাওয়া ভালো হলেও মোট ৩২টি ট্রলার সহ ৫১৬ জন মৎস্যজীবী আটকে ছিলেন। মঙ্গলবার সেই ৩২টী ট্রলার ও ৫১৬জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে বাংলাদেশ উপকূল বাহিনী রওনা দেয় কাকদ্বীপের উদ্দেশ্যে। বুধবার সকালে তারা কাকদ্বীপে এসে পৌঁছন। কাকদ্বীপ বন্দরে তাদেরকে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
গত ৪ঠা জুলাই কাকদ্বীপ বন্দর থেকে প্রায় ১৫০টি ট্রলার আবহাওয়া দফতরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বঙ্গোপসাগরে পাড়ি দেয় ইলিশের খোঁজে। কিন্তু দিন দুয়েক বাদেই যখন তারা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরছিলেন, তখন অবহাওয়া খারাপ হতে শুরু করে। গভীর সমুদ্রে প্রচণ্ড ঢেউ এর মধ্যে পড়ে চারটি ট্রলার জলমগ্ন হয়। বাকি ট্রলারগুলি পাশের উপকুলে নোঙর করার চেষ্টা করে। এর মধ্যে প্রচণ্ড ঢেউ এর মধ্যে পরে বত্রিশটি ট্রলার সহ ৫১৬ জন মৎস্যজীবী বাংলাদেশের জলসীমার অনেকখানি ভেতরে ঢুকে পড়ে আশ্রয়ের খোঁজে। সেখানে বাংলাদেশ উপকূল রক্ষী বাহিনী আবহাওয়া শান্ত হলে তাদের সাথে কথা বলে ও তাদেরকে ভারতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। মঙ্গলবার দুপুরে ভারত বাংলাদেশ জলসীমায় বাংলাদেশের দুটি জাহাজ স্বাধীন বাংলা ও মনসুর আলি ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ শামুখ ও বিজয়ার হাতে তুলে দেয় ৫১৬ জন মৎস্যজীবী ও ৩২টি ট্রলারকে। বুধবার তারা সকলে কাকদ্বীপ বন্দরে ফিরলে এনডিআরএফ এর হাতে তুলে দেয় মৎস্যজীবীদের। এদিনই এনডিআরএফ এর তরফ থেকে মৎস্যজীবীদের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।