শতবর্ষে পদার্পন করা ইস্টবেঙ্গল এবার বাইচুং ভুটিয়ার হাতে তুলে দেবে আইকন ফুটবলারের পুরস্কার। এই ঘোষণার পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, ‘বাইচুং চান এই বছর পাঁচ মিনিট হলেও প্রথম ম্যাচে খেলে তাঁর ফুটবল জীবনের ইতি টানতে
দেশের জার্সি গায়ে ২০১২ সালের ১০ জানুয়ারি শেষ ম্যাচটি খেলেছিলেন বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে দিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে। সেটি ছিল তাঁর ফেয়ারওয়েল ম্যাচ। এরপর ক্লাব ফুটবলে পাহাড়ি বিছে শেষবার নেমেছিলেন নিজের ক্লাব ইউনাইটেড সিকিমের হয়ে ২০১৩ সালে। এরপর আর কোনও ম্যাচে নামেননি বাইচুং ভূটিয়া। সবকিছু ঠিক থাকলে ফের লাল-হলুদ জার্সিতে খেলতে দেখা যেতে পারে জাতীয় দলের এই প্রাক্তন অধিনায়ককে। প্রিয় ক্লাবের জার্সি গায়েই শেষ ম্যাচ খেলে বুটজোড়া চিরতরে তুলে রাখতে চান অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত সিকিমের এই ফুটবলার। বুধবার সন্ধেয় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে এসে নিজের এই ইচ্ছের কথা জানালেন স্বয়ং বাইচুং। যদিও পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ হেডস্যার আলেজান্দ্রো মেনেন্ডেজ গার্সিয়ার ওপর। পাশাপশি বাইচুংয়ের মাঠে নামার জন্য প্রয়োজন স্পনসর কোয়েসের সম্মতিও।
বুধবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাব প্রাঙ্গনে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত প্রেস মিটের মঞ্চে উপস্থিত বাইচুং নিজের ইচ্ছে প্রকাশের পাশাপাশি জানিয়েছেন, সিকিমে তিনি নিয়মিত অনুশীলনের মধ্যেই রয়েছেন বলে যথেষ্ট ফিট। কোচ আলেজান্দ্রো চাইলে মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত।
সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন বাইচুং বলেন, ১৭ বছর বয়সে লাল-হলুদ ক্লাবে পা রাখার পর থেকে তাঁর মন জুড়ে কেবলমাত্র ইস্টবেঙ্গলই রয়েছে। ক্লাবের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে যথেষ্ট আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন পাহাড়ি বিছে। আজকের বাইচুং হয়ে ওঠার পিছনে এই ক্লাবের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি ধন্যবাদ জানান প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচদের। যাঁদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতাতে না পেলে তিনি আজকের দিনটি দেখতে পারতেন না বলেও জানিয়েছেন বাইচুং। লাল-হলুদ জার্সিতে স্মরণীয় ঘটনা হিসাবে এদিন দুটি বিষয়ের উল্লেখ করেছেন তিনি। প্রথমটি হলো, অমল দত্তের বিখ্যাত ডায়মন্ড সিস্টেমের মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ফেডারেশন কাপের হ্যাটট্রিক। আর দ্বিতীয়টি হলো, আশিয়ান কাপ জিতে ফেরার সময় দমদম বিমানবন্দরে মাঝরাতে নেমে অসংখ্য ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছিলেন।
শতবর্ষে পদার্পন করা ইস্টবেঙ্গল এবার বাইচুং ভুটিয়ার হাতে তুলে দেবে আইকন ফুটবলারের পুরস্কার। এই ঘোষণার পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, ‘বাইচুং চান এই বছর পাঁচ মিনিট হলেও প্রথম ম্যাচে খেলে তাঁর ফুটবল জীবন সমাপ্ত করতে। এ বিষয়ে অবশ্য আমাদের কোচ আলেজান্দ্রোর সম্মতির প্রয়োজন। আমরা কোচের সঙ্গে কথা বলব। আজই আমার বাইচুং-এর সঙ্গে কথা হয়েছে। ও বলেছে আমি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলাম এবং বলেছিলাম আমি এই ক্লাবে থেকেই আমার ক্লাব খেলোয়াড়ি জীবন শেষ করব। শতবর্ষে আমি সেই সুযোগ চাই।’ পাহাড়ি বিছে নিজে অবশ্য বলেন,’এটা একটা সাজেশন ছিল। এখনও বিষয়টি আলোচনার স্তরেই রয়েছে। কোচের সিদ্ধান্ত এ বিষয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেখা যাক সবকিছু ঠিক থাকলে এটা হতে পারে। মাত্র পাঁচ কিংবা দশ মিনিট মাঠে নামব। তার আগে কিছু প্রদর্শনী ম্যাচও খেলব। কিছুদিন আগেই শ্রীনগরে আমরা ম্যাচ খেলেছি।’