ভিসা নিয়ে গত দীর্ঘ কয়েক বছরে একাধিকবার সমস্যায় পড়তে হয়েছে তসলিমাকে। তবে এবার মাত্র তিন মাসের মেয়াদ বাড়ায় হতবাক লেখিকা
বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত ‘বিতর্কিত’ লেখিকা তসলিমা নাসরিনের ভিসার মেয়াদ মাত্র তিন মাস বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত হওয়ার পর ভারতে আশ্রয় নেন তসলিমা। কলকাতাতে থাকাকালীন একটি বইকে কেন্দ্র করে রোষের মুখে পড়ে কলকাতা ছাড়তে হয় তাঁকে। আপাতত তিনি দিল্লিবাসী। তবে এবার তাঁর ভিসার মেয়াদ মাত্র তিন মাস বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার।
ভিসা নিয়ে গত দীর্ঘ কয়েক বছরে একাধিকবার সমস্যায় পড়তে হয়েছে তসলিমাকে। তবে এবার মাত্র তিন মাসের মেয়াদ বাড়ায় হতবাক লেখিকা।
ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা সত্বেও কোনও সাড়া পাচ্ছিলেন না তিনি। তাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে উদ্দেশ্য করে গত মঙ্গলবারই একটি ট্যুইট করেন তসলিমা। আগামী ২৭ জুলাই তাঁর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তার আগে ২৬ জুলাই তাঁকে লন্ডনে উড়ে যেতে হবে বলে ওই ট্যুইটে জানান তসলিমা। এরপর তিনি জানান যে তাঁর ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। তবে সেটা মাত্র তিন মাসের জন্য। তসলিমা জানান, প্রত্যেকবারই তিনি পাঁচ বছরের ভিসার মেয়াদের জন্য আবেদন জানান, কিন্তু মাত্র এক বছরের জন্য ভিসা মঞ্জুর করা হয়। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম। এবারও তিনি পাঁচ বছরের জন্যই আবেদন করেছিলেন। কিন্তু মাত্র তিন মাসের জন্য সেই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
গত ২০০৪ সাল থেকে তসলিমা ভারতীয় ভিসা পেয়ে আসছেন। তাঁর লেখা নিয়ে বিতর্কের জেরে মৌলবাদীদের হুমকির প্রেক্ষিতে ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছিল তসলিমা নাসরিনকে। গত ২০ বছরে তসলিমা আমেরিকা এবং ইউরোপেও থেকেছেন বিভিন্ন সময়ে। কিন্তু বারে বারে বিভিন্ন সময়ে ভারতে, বিশেষ করে কলকাতায় থাকতে চেয়েছেন তিনি। ২০০৭-এ একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনার জেরে তসলিমাকে কলকাতা ছাড়তে হয়েছিল।